কন্দাল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী আরো বিপ্লব ঘটাতে হবে

কৃষিবিদ মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি: কন্দাল জাতীয় ফসল আমাদের দেশে সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যিকভাবে এর চাষবাস তেমনটি দেখা যায় না, তবে প্রতিটি জেলায় বাড়ির চারপাশে, গাছের নিচে, মাচায়, আঙিনায়, বেড়ার ধারে, পুকুর পাড়ে এর চাষাবাদ হতে দেখা যায়। এ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশব্যপী আরো বিপ্লব ঘটাতে হবে। কারণ কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী এবং কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত “আঞ্চলিক কর্মশালা” উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।

বুধবার (২৪ মে) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চল, বগুড়ার অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ সরকার শফিউদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামছুল ওয়াদুদ। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা এর কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো: মোখলেসুর রহমান ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন,অনেক ক্ষেত্রে জাংলা বা মাচার জন্য অতিরিক্ত খরচ পড়ে না এবং বাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত স্থান বা রাস্তার ধারে গাছের নিচেও চাষাবাদ করা যায়। এ জাতীয় ফসলের চাষ বিষয়ে একটু সচেতন হলে সবজির ঘাটতি মেটাতে, বাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত স্থানের সঠিক ব্যবহার করতে, কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার ছাড়াই এর চাষ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্র, এসআরডিআই, ফল গবেষণা, বিএডিসি, বিএমডিএ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।