নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রির ৫৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আজ রবিবার (১ অক্টোবর ২০২৩) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর ৫৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গাজীপুরে ব্রি সদর দপ্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ব্রির মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর। পরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ব্রি সদর দপ্তরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

পরে ব্রি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ব্রির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। আলোচনাসভা শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ব্রি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলান আব্দুল্লাহ্ গালিব। এরপর মিলনায়তনের সামনের প্রাঙ্গনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন ব্রির মহাপরিচালক।

সিনিয়র লিঁয়াজো অফিসার আব্দুল মোমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এবং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম। সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো: আব্দুল লতিফ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ড. আমিনা খাতুন, ফলিত গবেষণা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. হুমায়ুন কবীর, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান মো: সিরাজুল ইসলাম, ব্রি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো: রাশেল রানা, উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) এমরান হোসেন, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ব্রি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: শরিফুল ইসলাম, ব্রি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ, ব্রি শ্রমিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন হোসেন।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচীতে ব্রির পরিচালক (গবেষণা), পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারীসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ, ব্রিতে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠন এর প্রতিনিধিবৃন্দ, সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ০১ অক্টোবর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত আটটি হাইব্রিডসহ ১১৩টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আধুনিক ধান চাষের জন্য মাটি, পানি ও সার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৫০টির বেশি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ৫১টি লাভজনক ধানভিত্তিক শস্যক্রম উদ্ভাবন ও ৩৪টি কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।