
ভূমিকা:
প্রতি বছর ঈদুল আজহায় আনন্দের সাথে কোরবানি শেষে হাজার কোটি টাকার চামড়া রাতারাতি মূল্যহীন হয়ে পড়ে। গরীব-মধ্যবিত্ত কৃষক ও সাধারণ মানুষ তাদের পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এই ধস নামা বাজারের পেছনে শক্তিশালী চামড়া সিন্ডিকেটের একচ্ছত্র আধিপত্য ও কারসাজি প্রধান কারণ। এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হলে সৎ ও সামাজিক দায়িত্বশীল উদ্যোক্তা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। আর এই লক্ষ্য অর্জনে দেশের বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে পারে এক যুগান্তকারী মডেল, কেননা কোরবানির চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রয় ইতিমধ্যেই অনেক মাদ্রাসার আয়ের অন্যতম উৎস।

সমীরণ বিশ্বাস: কৃষি উৎপাদনে কীটপতঙ্গ, রোগজীবাণু, আগাছা ও ইঁদুরসহ নানা রকম ক্ষতিকর জীব বা উপদ্রবকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে সকল রাসায়নিক, জৈবিক বা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, তাকে কীটনাশক বা বালাইনাশক বলা হয়। কৃষিক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদন ও গুণগত মান ধরে রাখতে এগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উৎপত্তি ও ব্যবহার: প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকরা ছাই, নিমপাতা, বিভিন্ন ভেষজ পদার্থ ও জৈব উপাদান ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করতেন। শিল্পবিপ্লবের পর রাসায়নিক কীটনাশকের আবির্ভাব ঘটে এবং ২০শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়।

ড. হারুনুর রশীদ, ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মোঃ জসিম উদ্দিন, ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদ
ভূমিকাঃ এবছর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর খসড়া তালিকা-২০২৫’ অনুযায়ী দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১২৯৪টি। তিব্বত, হিমালয়, মেঘালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে উৎসরিত ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে উত্তর থেকে দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে চলা এসব নদী তার গতিপথে অসংখ্য অভ্যন্তরীণ জলাশয় তৈরি করেছে ও তাতে পাণ-প্রবাহ সৃষ্টি করেছে। ফলে এসব নদীর গতিপথের দু’পাড় জুড়ে রয়েছে অসংখ্য হাওর-বাওড়, বিল-ঝিল ও প্লাবনভূমি। এসব জলাধার মৎস্য সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার; সেইসাথে বাংলার প্রাণবৈচিত্র্য ও অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে অভ্যন্তরীণ জলাশয়গুলোর মৎস্য জীববৈচিত্র্য এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।


আতিকুল ইসলাম: বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের গুরুত্ব দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়মিত বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, খরা, অতিবৃষ্টি, তাপপ্রবাহ ও শৈতপ্রবাহের মতো অনিশ্চিত আবহাওয়া কৃষি উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। এই প্রেক্ষাপটে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস কৃষকের কাছে একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকেরা এই পূর্বাভাস কিভাবে গ্রহণ করছেন, কতটা বিশ্বাস করছেন এবং কীভাবে তা কাজে লাগাচ্ছেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মতামত ও অভিজ্ঞতা।

বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশে ব্রয়লার খামারিদের জন্য তীব্র গরমের মৌসুম একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উচ্চ তাপমাত্রা (সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি) যখন দীর্ঘসময় ধরে থাকে, তখন মুরগির শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। এসময় ব্রয়লারের খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়, ফলে ওজন বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট, কোষ নষ্ট হওয়া এমনকি মৃত্যুহারও বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ব্রয়লারের উৎপাদন কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে পুরো পোলট্রি শিল্পের ওপর।