
প্রফেসর আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ ও সমীরণ বিশ্বাস : বর্তমান বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এর সাথে জড়িত রয়েছে খাদ্যের মান, পুষ্টিগুণ এবং নিরাপত্তা। বাংলাদেশসহ অনেক কৃষিনির্ভর দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন একটি বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এবং ফসলকে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কৃষকরা অতিরিক্তভাবে রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

প্রফেসর নোমান ফারুক ও সমীরণ বিশ্বাস: বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। তবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কৃষিতে অধিক হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, মাটির উর্বরতা হ্রাস এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি, মাটির অবক্ষয়, জলাশয়ের দূষণসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা প্রায়শই তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। এ প্রেক্ষাপটে কৃষিতে সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা আজ সময়ের দাবি। এজন্য অযাচিত কীটনাশকের ব্যবহার কমানো, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, জৈব প্রযুক্তি ও বায়ো-পেস্টিসাইড ব্যবহারের প্রসার, কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সংযোজন, নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাই হতে পারে একটি কার্যকর রূপরেখা।

সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেছেন, সময়োপযোগী, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রমের সাথে জড়িত গবেষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব। গবেষক ও গবেষণা কাজের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বিশ্বে প্রকাশ পাবে।

সমীরণ বিশ্বাস: প্রকৃতির অমূল্য দান হলো ফল। এতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে সুস্থ রাখে, হজমশক্তি বাড়ায়, রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনেক ফল শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি-রেডিকেল প্রতিরোধ করে বয়সের প্রভাব কমায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফল খাওয়ার মাধ্যমে অকালমৃত্যু ও জটিল রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। তাই বলা যায়, ফল শুধু খাবার নয়, এটি প্রাকৃতিক ওষুধ, যা আমাদের রোগ থেকে দূরে রাখে এবং সুস্থ-সবল জীবনযাপনে সহায়তা করে। খনা বাংলার প্রাচীন জ্ঞানী নারী, যিনি কৃষি, ফল, ঔষধ ও জীবনযাপনের নানা বিষয় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী ও উপদেশমূলক খনার বচন বলে গেছেন। ফল ও রোগ নিরাময় সম্পর্কেও খনার বেশ কিছু বচন আছে। দেশী ফল; রোগ দূরে করে টলমল।

প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম: প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। সমাজের সব মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তিনি আমৃত্যু কাজ করছেন। দাতাদের সাহায্যনির্ভরতা থেকে অর্থনীতিকে বের করতে বাণিজ্য উদারীকরণ করেছেন। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে চালু করেন ভ্যাট আইন। সব মিলিয়ে তিনিই প্রথম অর্থনীতির সংস্কার করেন।

সমীরণ বিশ্বাস: মানব জীবনের টিকে থাকার মূল ভিত্তি হলো খাদ্য, পানি, বায়ু এবং প্রকৃতি। এ চারটি উপাদান ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতি, অতিরিক্ত শিল্পায়ন, জনসংখ্যার চাপ, নগরায়ণ এবং পরিবেশ দূষণের কারণে আজ এ মৌলিক উপাদানগুলো বিপর্যয়ের মুখে। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতির সুরক্ষা নিশ্চিত করা এখনই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।