এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: 'Sustainable Poultry for Emerging Bangladesh' শ্লোগানকে ধারণ করে ২০-২২ ফেব্রুয়ারী রাজধানীতে শুরু হতে যাচ্ছে ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো। মেলা শুরুর পূর্বে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী আয়োজিত প্রযুক্তিগত সেমিনারে পোল্ট্রি শিল্পের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসবে। এই আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলায় যা দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: ভোক্তা সচেতনতা ও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় পোল্ট্রির মাংস ও ডিমের অবদান আর্থিক বিবেচনায় অতুলনীয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ডিম ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ং সম্পুর্ণ। এছাড়াও পোল্ট্রি বাংলাদেশে স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্বের হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এতদ্সত্তেও বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প খাদ্যের দাম, রোগসহ নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত। তাই এই খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। খামার ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করলে এ খাত আরও সমৃদ্ধ হতে পারে।

বাকৃবি প্রতিনিধি-বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও তার গবেষক দল অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদনের দাবি করেছেন। উদ্ভিজ্জ নির্যাস, বিশেষ করে নিমের নির্যাস থেকে তৈরি এই বিশেষ ফর্মুলার নাম 'BAUSafe-Vet', যা প্রায় শতভাগ নিরাপদ ব্রয়লার উৎপাদনে কার্যকর বলে জানান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম।

Anjan Majumder: Bangladesh’s poultry industry has significant growth potential, driven by rising demand, urbanization, and value-added product expansion. However, addressing disease risks, improving food safety, and strengthening the supply chain are crucial for long-term sustainability. With proper government policies, investment in technology, and consumer awareness, the sector can play a major role in ensuring food security and economic development

সমীরণ বিশ্বাস: ফসলে অনুখাদ্য বা মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট এর প্রয়োজন কারণ এগুলো উদ্ভিদের সঠিক বৃদ্ধি, বিকাশ এবং ফলনের জন্য অপরিহার্য। অনু খাদ্যগুলি উদ্ভিদের এনজাইম, হরমোন এবং ক্লোরোফিল গঠনে সহায়তা করে। এগুলো মাটি থেকে পুষ্টি শোষণ, ফুল ও ফল ধারণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যেমন দস্তা (Zn) পাতার ক্লোরোফিল তৈরি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, আয়রন (Fe) ক্লোরোফিল সংশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ, এবং বোরন (B) ফুল ও ফলের গঠন উন্নত করে। তাই, ফসলে পরিমিত পরিমাণে অনু খাদ্য সরবরাহ করলে উৎপাদনশীলতা ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। একটি গাছের বেঁচে থাকতে ১৭ টা উপাদান প্রয়োজন হয়। তাই সুষম সার বা মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট (অনুখাদ্য) ব্যবহার করা জরুরি। গাছে এই ১৭ টি উপাদানের যে কোন একটির অভাব থাকলে গাছ অল্প কিছু দিনের মধ্য আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ শুরু হয়।

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৪ হাজার ৫ শত ৩৭ টি গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬ শত ৭৪ টি র অধিক গবেষণা প্রকল্প চালু রয়েছে।