ড. এএইচএম সাদেক: স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিবদমান দুটি শ্রেণির মধ্যে যখন দ্বন্দ্ব-সংঘাত বা সংঘর্ষ প্রকট আকার ধারণ করে তখন শ্রেণি সংগ্রাম বা শ্রেণি সংঘাত (Class struggle) অনিবার্য হয়ে যায়। অন্যায্য শাসন-শোষণ, নিপীড়ন, অসহিষ্ণু অনাচার শ্রেণি সংগ্রামের পালে গতি দেয়, বিভক্ত সমাজব্যবস্থার গোড়াপত্তন হয়, সভ্যতার দ্বন্দ্ব বা ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশ্যন অনিবার্য রূপ ধারণ করে।

ড. এএইচ সাদেক: কোন বিষয়ের খন্ডিত বা আংশিক ব্যাখ্যা মানব মনে ভুল বার্তা দেয়। সন্দেহ ও উদ্বেগের ডালপালা বিস্তার করে। সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঝাপসা ও সন্দেহ নিরসনের বিকল্প হতে পারে না। দেশে বিগত ৫ আগস্ট, ২০২৪ কি ঘটে গেল তা অনেকেই আন্দাজ করতে পারছে না। হুঁশে হোক, জোশে হোক, রক্ত সাগরের বিনিময়ে হোক জাতি এখনো ট্রমাতে আছে। জাতি ও পতিত শাসক উভয়েই ট্রমাটাইজড। কি হলো, কি ঘটে গেল এমন একটা ফিলিংস ভাববোধ জাতির মধ্যে এখনো বিদ্যমান।

সমীরণ বিশ্বাস: এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ভুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে। মাঙ্কি পক্স একটি ভাইরাসজনিত প্রাণীজাত (জুনোটিক) রোগ। ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কের একটি বিজ্ঞানাগারে বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ সনাক্ত করা হয় বলে একে মাঙ্কি পক্স বলা হয়। এ রোগটির প্রাদুর্ভাব ১৯৭০ সাল থেকে প্রধানত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার ১১ টি দেশে দেখা যায়। ইতিপূর্বে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, সিঙ্গাপুর সহ অন্যান্য দেশেও এ রোগের প্রাদুর্ভাগ দেখা গেছে।

রোটারিয়ান ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ:
ভূমিকা:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার জন্য এর কর্মপরিধি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি। এই রিফর্মের প্রক্রিয়ায় দক্ষ জনবল, অভিজ্ঞ দলনেতা, এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর সংযুক্তি অপরিহার্য। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যা দেশের পরিবেশ সুরক্ষা, বনাঞ্চল সংরক্ষণ, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে। তবে বর্তমান সময়ে এর কার্যক্রম আরো কার্যকর ও টেকসই করতে প্রয়োজন একটি ব্যাপক সংস্কার বা সংস্কার, যা দক্ষ জনবল, দক্ষ দলনেতা এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্ভব। এই প্রবন্ধে, আমরা এই মন্ত্রণালয়ের কর্ম পরিধিকে কীভাবে আরও উন্নত এবং কার্যকর করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব।

রোটারিয়ান ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ: প্রাণিসম্পদ সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ একটি প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন পুষ্টির একটি বড় অংশ আসে প্রাণিসম্পদ থেকে।

কৃষিবিদ ড. মো. রওশন জামাল (জুয়েল): ফসলের ক্ষেত, কৃষি, কৃষক জীবন-সভ্যতার এক অপরিহার্য অনুসঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও সুশিল সমাজে কৃষি এখনও একটা অবহেলিত পেশা। পেটে-ভাতের সেকেলে কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া দিতে ১৯৬১ সালের ১৮ আগষ্ট প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন গভর্ণর মোনায়েম খাঁ ময়মনসিংঘের মানুষ হওয়ায় দেশের একমাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ শহরের অদুরে এক বিজন প্রান্তরে গড়ে ওঠে।