রমজানের গুরুত্ব, ফজিলত ও পবিত্রতা রক্ষা করা মুমিন মুসলমানদের অন্যতম দায়িত্ব

ইসলামিক ডেস্ক:রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান আমাদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে।  এসময় নিজে প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে রমজানের গুরুত্ব, ফজিলত ও পবিত্রতা রক্ষায় ভূমিকা রাখা মুমিন মুসলমানদের অন্যতম দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের রমজানের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নানাভাবে উৎসাহিত-উদ্দীপিত করতেন, সর্বস্ব নিয়োগ করে তাতে কল্যাণ আহরণের জন্য আত্মনিয়োগের পরামর্শ দিতেন।

রোজা ও রমজানের ফজিলত সম্পর্কিত হাদিসগুলোর অধিকাংশই রমজানের আগের বিভিন্ন বৈঠকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের জানিয়েছেন। তিনি উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ‘রমজান- বরকতময় মাস। তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোজা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে বঞ্চিত হলো (মহাকল্যাণ থেকে)।’ (সুনানে নাসায়ি : ২১০৬)

রমজানের প্রস্তুতির অন্যতম হলো মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া, রমজানের আয়-ব্যয়ের হিসাব করে হালাল বস্তুর সাহরি ও ইফতারের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, কাজের বোঝা হালকা করে ইবাদতমুখী হওয়া, কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট না দেওয়া, অধীনস্থদের কাজের বোঝা কমিয়ে দেওয়া, মিথ্যা, প্রতারণা, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মতো হারাম কাজ বর্জন করা, দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করার মতো অপরাধ না করা, রমজানের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানা ও রমজানবিষয়ক বইপত্র অধ্যয়ন করা ইত্যাদি।

রমজান আল্লাহতায়ালার নৈকট্য অর্জনের মাস। তাই রমজানে সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতে হবে। আগত রমজানে বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার পাশাপাশি এ মাসের পূর্ণ বরকত লাভের জন্য নিজেকে সব ধরনের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত রেখে একনিষ্ঠভাবে ইবাদত-বন্দেগির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আসুন আমরা এবারের রমজানে আমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। তিনি যেন আমাদের সকলকে সুস্থ রেখে পবিত্র রমজান পরিপূর্ণভাবে পালনের তাওফিক দিন। আমিন