বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে রালস্ এগ্রো লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম

বিজনেস প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে রালস্ এগ্রো লিমিটেড। ২০২০ সালের শুরুর দিক থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে কাজ করে যাচ্ছে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারী। বিগত দিনগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, বছরের বেশিরভাগ সময়ই দেশের খামারীরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায়নি। এ সকল প্রান্তিক খামারিরাই ডিম, দুধ, মাছ, মাংস দেশের মানুষের প্রাণিজ পুষ্টির সেরা যোগান দাতা। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর উৎপাদনের সাথে জড়িত প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীরা তাঁদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়।

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) রালস্ এগ্রো লিমিটেডের ২০২০ সালের বার্ষিক মূল্যায়ন সভা ও ২০২১ সালের ব্যবসায়িক পলিসি নিয়ে আয়োজিত এক  কর্ম পরিকল্পনা সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ শাহ আলম মিয়া। রংপুরের কামাল কাছনায় অবস্থিত রূপকথা থিম পার্কের হলরুমে দিনব্যাপী আয়োজিত এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত ৬০ জন প্রতিনিধি ও কর্মকর্তা যোগদান করেন।
 
জনাব শাহ আলম মিয়া বলেন, মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় নিয়মিত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস রাখতে হবে। করোনার সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এসব খাবারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এ সংক্রান্ত গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি আমাদের প্রতিষ্ঠান সীমিত সাধ্যের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
 
জনাব শাহ আলম মিয়া আরও বলেন, দেশে পর্যাপ্ত মাংস উৎপাদন হলেও বেশ কয়েকটি দেশে থেকে সরকার হিমায়িত মাংস আমদানি করছে। এই ধারা অব্যহত থাকলে দেশিও খামারিগণ তাঁদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে হুমকির মধ্যে পড়বে এবং বেকারত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। একদিকে প্রান্তিক পর্যায়ে পোল্ট্রি খামারিরা গরীব হতে নিঃস্ব হচ্ছে, অন্য দিকে এই ইণ্ডাস্ট্রি চলে যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানি ও মুষ্ঠিমেয় এক শ্রেণির সিণ্ডিকেট গোষ্ঠির হাতে। এ সকল কোম্পানিদের হাতে ব্যবসা চলে গেলে দুধ, মাংস, ডিমের দাম কেমন হবে তা নিকট অতীতে পেঁয়াজ কাহিনী হতে সহজেই অনুমেয়। কোম্পানির ব্যবসাকে আরো গতিশীল এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি এনিমেল হেলথ্ সেক্টরে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ জনাব এম কে ইসলাম (লিটন) কে রালস্ এগ্রো লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
 
জনাব এম.কে ইসলাম লিটন বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে প্রাণির দেহে এণ্টিবায়োটিক ব্যবহার হ্রাসের লক্ষ্যে আমাদের কোম্পানি সম্প্রতি ব্রীথীজ, স্পেকট্রা-সল, নোভা-বেকটিকসহ বেশ-কয়েকটি প্রবায়োটিক পণ্য আমদানি করছে যা খামারিদের ডিম, মাংস, মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহজলভ্য করবে এবং প্রাণিদেহে রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।


 
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানির এইচ.আর ম্যানেজার সাদেক হোসেন, সহকারি ম্যানেজার জনাব, মোশারফ হোসেন, হিসাব রক্ষক জনাব অনুকুল মহন্ত (আনন্দ), এ.এস.এম  জনাব, আনোয়ার হোসাইন ও সুদীপ চক্রবর্তী প্রমুখ।

সম্মেলনে বিগত বছরের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করে সারাদেশের বিভিন্ন পদে কয়েকজন অফিসারকে পদোন্নতি, অফিসারদেরকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ পুরস্কৃত ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

সবশেষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ শাহ আলম মিয়া সারা বিশ্বের মানুষের এ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকা এবং সবার মঙ্গল ও সু-স্বাস্থ্য কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।