রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নিরাপদ আম রপ্তানির লক্ষ্যে আম চাষী, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারক কৃষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

মো. এমদাদুল হক:রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নিরাপদ আম রপ্তানির লক্ষ্যে আম চাষী, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকার কৃষকদের নিয়ে ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে উপজেলার পাকুড়িয়া নামক গ্রামের আম বাগানে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম মনিরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শামছুল হক, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মোছা: উম্মে ছালমা, ঢাকা,আসাদগেট হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র হর্টিকালচারিস্ট কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, আমের বর্তমান অবস্থা কোনো গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে, ব্যতিক্রম কিছু গাছে কোথাও মটরদানাকৃতি আবার কোথাও কেবল গুটিবাঁধা সম্পন্ন হয়েছে আনেক গাছে মুকুল আসতে এখনও দেরি রয়েছে। ভালোমানের আম উৎপাদনে ব্যবস্থা নিতে হবে এখন থেকেই। আমের গুটি বাঁধা সম্পন্ন হলেই একটি কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকের ব্যবহার করতে হবে। মেঘমুক্ত ও রৌদ্র উজ্জ্বল দিনে স্প্রে করলে তা বেশি কার্যকর হয়। তবে স্প্রে হতে সবচেয়ে বেশি সুফল পেতে সঠিক বালাইনাশক নির্বাচন, সঠিক ডোজ বা মাত্রা নির্ধারণ, সঠিক সময় নির্বাচন এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। যে কোনো বালাইনাশক যদি পরিমিত মাত্রায় কার্যকরী উপাদান থাকে এবং সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা হয় তাহলে নির্দিষ্ট বালাইনাশক নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট। এখন থেকে আম সংগ্রহ করা পর্যন্ত আমবাগানে বহুবার বালাইনাশক ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। আমের বৃদ্ধিকালীন বর্ষাকাল হওয়ায় বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায়। আর এসবের আক্রমণ থেকে আমকে রক্ষা করেতে বালাইনাশকের ব্যবহার কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবে প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানান।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশে ব্যাপক পরিমান আম উৎপাদন হয়ে থাকে দেশি চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। পরিবেশবান্ধব (স্বাস্থ্যসম্মত) ভাবে আম উৎপাদনে বর্তমান ব্যাগিং খুব চমৎকার প্রযুক্তি। ব্যাগিং করার জন্য সঠিক নিয়মকানুন ও পদ্ধতি অনুসরণ করে যে সব চাষি ব্যাগিং কবেন তারা বেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান বিগততে হয়েছে। নিরাপদ, বিষমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের জন্য এটি একটি সহজ ও সাশ্রয়ী প্রযুক্তি হিসেবে মাঠপর্যায়ে পরিচিতি লাভ করেছে আগামীতে আরো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বৃদ্ধি করতে হবে যাতে করে আম রপ্তানির মাধ্যেমে দেশ লাভবান হতে পারে। অনান্য অতিথিগন আম চাষসহ বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরে আলোচনা করেন।

এই মতবিনিময় সভায় প্রায় ২০০ কৃষকসহ আম চাষী, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিরক প্রতিনিধি এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন অত্রউপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ কামরুল ইসলাম। পরিশেষে খামারবাড়ি, ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস এর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।