মো. রেজুয়ান খান: বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ফল উৎপাদনের জন্য এক অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উঁচু পাহাড়, টিলা এবং সমতল জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফল জন্মায়। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে এই এলাকার সমতল ও উঁচু স্থানে আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা এবং আনারসের ফলন হয়। সারাবছর মৌসুমি ফল উৎপাদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই অঞ্চলের স্থানীয় বাজারগুলো এখন মৌসুমি ফল বিক্রয়ের জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে।
বাকৃবি প্রতিনিধি-ব্রুসেলোসিস একটি ভয়াবহ ব্যাধি যা গৃহপালিত পশু, বন্যপ্রাণী এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীদের আক্রান্ত করে থাকে। এটি জুনোটিক রোগ হওয়ায় পশু থেকে সহজেই মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় এবং গবাদি পশুতে দুধ উৎপাদন হ্রাস, গর্ভপাত এবং উৎপাদনক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে খামারিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
সমীরণ বিশ্বাস:নারিকেল বাংলাদেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বাগানজাতীয় অর্থকরী ফসল। এ গাছের ফল, পাতা, কাণ্ড ও অন্যান্য অংশ বিভিন্নভাবে ব্যবহারযোগ্য এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। নারিকেল শুধু খাবার ও তেলের উৎস হিসেবেই নয়, নির্মাণ, ধর্মীয় ও ঔষধি কাজেও ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে নারিকেল চাষ সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জমির ক্রমহ্রাস ও অনিয়ন্ত্রিত চাষাবাদের ফলে নারিকেল উৎপাদনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে আধুনিক চাষ পদ্ধতি, সঠিক জাত নির্বাচন, সার প্রয়োগ, সেচ ও রোগব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করে নারিকেল উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন সম্ভব। এই প্রেক্ষাপটে নারিকেল চাষের বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক সার প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে একদিকে যেমন কৃষকের আর্থিক উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাকৃবি প্রতিনিধি: র্যাবিস বা জলতাঙ্ক একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা র্যাবডোভিরিডি পরিবারের লিসাভাইরাস গণের র্যাবিস ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে। এটি দেহের প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র দিয়ে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সংক্রমিত করে। এর ফলে অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি, অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মাথাব্যথা ও জ্বরসহ নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর হার প্রায় শতভাগ।
সমীরণ বিশ্বাস: ফল-ফসলের জাত নামকরণে বিদেশি শব্দ বা সংস্কৃতির আধিক্য মূলত বৈজ্ঞানিক, বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর কারণে গড়ে উঠেছে। তবে, এতে স্থানীয় কৃষি সংস্কৃতি, ভাষা ও পরিচয়ের জায়গায় এক ধরণের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। কৃষি দেশি, নাম কেন বিদেশি ? ভবিষ্যতে স্থানীয় নাম, ভাষা ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে ফল-ফসলের জাতের নামকরণ হলে কৃষকের কাছে জাতের গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে, তেমনি তা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচায়ক হবে। কৃষি জাত বা ভ্যারাইটি (Variety) এর নামকরণ এবং এর আইনি বৈধতা বিষয়টি বাংলাদেশের কৃষি আইন ও আন্তর্জাতিক বাছাইকৃত নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে নতুন কোন কৃষি জাত উদ্ভাবনের পর সেটির নামকরণ এবং নিবন্ধনের দায়িত্ব সাধারণত নিচের সংস্থাগুলো পালন করে।
আবুল বাশার মিরাজ: রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তায় ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে এক অচেনা ফল। ছোট আকৃতির, হলুদাভ-সবুজ রঙের এই ফলকে কেউ চেনেন না, কেউ বা আবার স্মৃতিচারণায় আবেগঘন হয়ে বলেন “এটা তো আমাদের ছেলেবেলার ডেউয়া!” অনেক বছর পর শহরের রাস্তায় দেখা মিলছে এই প্রায় হারিয়ে যাওয়া দেশীয় ফলের। এক সময় গ্রামে-গঞ্জে বাড়ির পাশে, পুকুরপাড়ে কিংবা জঙ্গলে অনায়াসে জন্মাত এই ফল। আজ সে ফল ঢাকায় এসছে ফেরিওয়ালার হাত ধরে। নতুন প্রজন্মের কাছে এটি যেমন এক অজানা রহস্য, তেমনি বয়স্কদের মনে জাগাচ্ছে পুরনো দিনের স্মৃতি।