বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে নবনির্মিত ‘বেগম খালেদা জিয়া হল’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ও ৬ষ্ঠ ছাত্রী হল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নতুন হলের লাইব্রেরি কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়াকে স্বাগত জানান। পরে হলের নামফলক উন্মোচন ও কেক কাটার মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা, কোষাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাউস টিউটর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নতুন হলের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, হলটির একটি ব্লকের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ে ৩৫০ জন ছাত্রীকে আবাসনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৪৪টি কক্ষ ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ কাজ শেষ হলে হলটিতে ১,২০০ শিক্ষার্থী আবাসনের সুযোগ পাবে।
সভাপতির বক্তব্যে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদের বলেন, “এটি একটি অনন্য হল, তার নামের কারণেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ ছাত্রী পড়াশোনা করছে— যা মেয়েদের অগ্রযাত্রার প্রতীক। এই হলের পরিবেশে মনোযোগসহকারে পড়াশোনা করলে তোমরা আরও এগিয়ে যেতে পারবে, দেশের সেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে— তাহলেই এই হলের নাম সার্থক হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া একটি অবিস্মরণীয় নাম, এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার নামে এই হল উদ্বোধন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই হলের মনোরম পরিবেশ ও সৌন্দর্য অন্য হলগুলোর চেয়ে আলাদা। যারা এখানে সিট পেয়েছো, তারা সত্যিই ভাগ্যবান।”
উপাচার্য আরও বলেন, “এই হলে কোনো হিটার চলবে না, শতভাগ ছাত্রীকে ডাইনিংয়ে খেতে হবে। কেউ পলিথিনে করে খাবার আনবে না। ডাইনিংয়ের খাবার ভালো না হলে আমরা পদক্ষেপ নেব। খুব শিগগিরই তোমাদের জন্য ব্যাডমিন্টন কোর্টের ব্যবস্থাও করা হবে।”
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এই হল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাকৃবিতে শিক্ষার পাশাপাশি নিরাপদ ও উপযোগী আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত হলো।