রাজশাহীর মোহনপুরে কৃষক সমাবেশে কৃষি সচিব

মোঃ দেলোয়ার হোসেন: অদ্য ২৯শে আগষ্ট/২০২৫ তারিখ অপরাহেৃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মোহনপুর, রাজশাহীর আয়োজনে বাকশিমইল ইউনিয়নের খাড়োইল মাঠে খামারী অ্যাপের মাধ্যমে রোপা আমন ধানে সার সুপারিশ শীর্ষক কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: ছাইফুল আলমের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকিত করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো: এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মির্জা আশফাকুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো: ওবায়দুর রহমান মন্ডল, অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) কৃষিবিদ ড. মো: জামাল উদ্দিন, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: আজিজুর রহমান, রাজশাহী জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোছা: উম্মে ছালমা এবং কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি ঢাকার উপপরিচালক (গণযোগাযোগ) কৃষিবিদ মোছা: ফেরদৌসী ইয়াসমিন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। কৃষি ও কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এক কথায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কৃষিই হচ্ছে প্রধান নিয়ামক। তিনি আরো বলেন, খামারী অ্যাপের মাধ্যমে সার সুপারিশ, মাটি ব্যবস্থাপনা ও পোকামাকড় দমন বিষয়ে ধারনা পাওয়া যায়। তাই কৃষক খামারী অ্যাপ ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করলে অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। কৃষক মাঠে বসে ফসলের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারে। খামারী অ্যাপ আরো সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। যাতে আবহাওয়া বার্তা থাকবে। দেশে সারের কোন ঘাটতি নাই। প্রণোদনা সহায়তা ও ভূর্তকী মূল্যে রাসায়নিক সার সরবরাহ করছে সরকার। তিনি কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তাকে মাঠে থেকে কৃষককে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষককে সার্বিক উন্নয়ন সাধনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক-কৃষাণীকে সম্মান দেখিয়ে তাদের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। দেশে আরো পলিনেট হাউজ গড়ে তোলা হবে। যাতে প্রাকৃতি দুর্যোগের কবল থেকে ফসলকে রক্ষা করা যায়।

সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, খামারী অ্যাপ ব্যবহার করে কৃষক ফসল উৎপাদন করলে যেমন খরচ কম হবে তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। খামারী অ্যাপ ব্যবহার করে ফসল চাষ করা হলে ১৫০০ কোটি টাকা অপচয় থেকে দেশ রক্ষা পাবে। খড়োইলে পলিনেট হাউজ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং মোহনপুরে মিষ্টি পানের গবেষনা জন্য পান গবেষনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মতবিনিময় সভা শেষে সচিব মহোদয় তানোর উপজেলার মুন্ডমালায় এয়ার ফ্লো মেশিনে পেঁয়াজ সংরক্ষন, রপ্তানীযোগ্য আম বাগান ও বস্তায় আদা চাষ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও কর্মকর্তা, প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, কৃষক-কৃষাণী, কৃষি ভিাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ২৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।