মাহফুজুর রহমান: জ্বীনের পাহাড়ের নাম হয়তো আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন। আমরাও শুনেছি। এখানে যানবাহন চলাচলের যে অলৌকিকতা অর্থাৎ কোন ধরনের গিয়ার ছাড়াই (ষ্টার্ট বন্ধ অবস্থায়) গাড়ী ৮০ থেকে ১০০ কিঃমিঃ/ঘন্টা গতিতে চলে। আমরা সেই অলৌকিকতার সরাসরি সাক্ষী হতে এবারের গন্তব্য হিসাবে জ্বীনের পাহাড়ে যাই। জ্বীনের পাহাড়ে পৌছে আমরা মাগরিবের নামাজ আদায় করি। যাতায়াতের গোটা রাস্তায় আপনাকে বিমোহিত করবে এখানকার পাহাড়ী সৌন্দর্য্য।

মাহফুজুর রহমান: আমাদের গন্তব্য মসজিদে কিবলাতাইন। এ মসজিদেই প্রিয়নবী (সঃ) এর দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছিল। এখানে নামাজ পড়ার সময় আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে কিবলা পরিবর্তনের নির্দেশের ওহি আসে। কিবলা পরিবর্তন সম্পর্কিত পবিত্র কোরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়।

মাহফুজুর রহমান: ৩ হিজরির শাওয়াল মাসে ইসলামের দ্বিতীয় যুদ্ধ ওহুদ সংঘটিত হয় এখানে। মদিনার মসজিদে নববি থেকে উত্তরে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ওহুদের প্রান্তর। বদর যুদ্ধের ঠিক এক বছর পর ওহুদ যুদ্ধ হয়। মক্কার অমুসলিম ও মদিনার মুসলিমদের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওহুদ যুদ্ধে ওহুদের প্রান্তরে ছোট্ট আকারের পাহাড় জাবালে রুমা অর্থাৎ রুমা পাহাড়ে নবীজি ৫০ জন তিরন্দাজ সাহাবিকে নিযুক্ত করে বলেছিলেন, ‘আমাদের জয়-পরাজয় যা-ই হোক, তোমরা এখানে থাকবে।’ রাসুল (সা.) তাঁদের আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর নেতৃত্বে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে শক্রু বাহিনীকে পালাতে দেখে নিজেদের জয় হয়েছে ভেবে তারা নবীজির নির্দেশনার কথা ভুলে যান এবং গনিমতের মাল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু নবীজির নির্দেশ উপেক্ষা করার মাশুল তাদের দিতে হলো। যখন তিরন্দাজরা গনিমতের মাল সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন, তখন অমুসলিম বাহিনী গিরিপথ অতিক্রম করে মুসলমানদের পেছন দিক থেকে আক্রমণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিল।

মাহফুজুর রহমান: বুড়ির গল্পটি অনেকেই জানেন,তারপরও লিখছি । আমাদের রাসুল (সঃ) যে পথ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতেন, সেপথে কাটা বিছিয়ে রাখতো এক বিধর্মী বুড়ি।কারণ মহানবী (সঃ) ইসলাম প্রচার করছেন, তাই তাকে অপছন্দ করতো বুড়ি এবং কাটা পায়ে ফুটে যাতে তিনি কষ্ট পান সেটাই ছিল তার উদ্দেশ্য।

মাহফুজুর রহমান: বিশাল ময়দানের নাম মিনা। মক্কা নগরীর এক পাশে কাবা শরিফ থেকে ৫কিঃ মিঃ দূরেই এটি অবস্থিত। পুরো ময়দানটিই সাদা রঙের স্থায়ী তাঁবু দিয়ে সাজানো। দূর থেকে এগুলোকে অসংখ্য গম্বুজ মনে হবে। হাজীদের ৮ জিলহজ জোহরের আগে মিনায় থাকতে হয়। এদিন জোহর থেকে পরের দিন ফজর পর্যন্ত এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সুন্নত। ৯ জিলহজ হাজীদের মিনা থেকে আরাফাহ ময়দানে যেতে হয়। ১০ জিলহজ মুজদালিফায় রাত যাপন করে ১১ জিলহজ সকালে মিনায় ফিরে জামরায় পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। জামারা এখন বন্ধ থাকায় আমরা কাছে যেয়ে সেটি দেখতে পারি নাই। দূর থেকে শয়তানকে পাথর মারার স্থান আমরা অবলোকন করি। জিলহজের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ এই তিনদিন মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। মিনার বর্তমান চিত্র খুবই সুন্দর ও পরিপাটি একটি শহর। এটাকে বিশ্বের বৃহত্তর তাঁবুর শহরও ধরা হয়। এখানকার তিন দিন অবস্থানকারী হাজীদের জন্য কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এসব তাঁবু।

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদ-উল আযহার প্রধান জামাত সকাল ৭.৩০টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষে অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে । আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।