বাকৃবিতে বিএসপি দ্বিবার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দি বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্যারাসাইটোলজির (বিএসপি) ১৪তম দ্বিবার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর ২০২৩) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘প্রাণী এবং মানুষের গ্রীষ্মমন্ডলীয় পরজীবী জনিত রোগসমূহ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ওই সম্মেলনের আয়োজন করে দি বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্যারাসাইটোলজি (বিএসপি) ও ইন্টার এগ্রো বিডি লিমিটেড ।

বাংলাদেশ প্যারাসাইটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেন মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোলেমান খান। সেমিনারে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি কলকাতা এর আইসিএমআর ইমিরিটাস সায়েন্টিস্ট শ্যামল রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আউয়াল , ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস । অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন সেমিনার আয়োজক কমিটির সভাপতি।। অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীম ,বিএসপি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান এবং ধন্যবাদ দেন প্রফেসর ড.শিরিন আক্তার। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা সচিব সোলেমান খান বলেন ,আজকের সেমিনারের বিষয়বস্তু প্রাণি ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেমিনারে বিজ্ঞানীগণ যেসকল গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করবেন তা থেকে আমরা সকলেই উপকৃত হবো বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন , কৃষির প্রাচীণ ও বৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজ পর্যন্ত বহু গ্রাজুয়েট বের হয়ে বিভিন্ন সেক্টরে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে তার অন্যতম দাবীদার এবিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনকারী গ্র্যাজুয়েটগণ।

সম্মেলনে গবেষকগণ বলেন, নানা ভাবে ক্ষতিকর পরজীবী খাদ্যের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করছে। মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলেও এসব পরজীবী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এমনকি মৃত্যুও ঘটছে।গবেষকগণ আরও জানান আমাদের চারপাশের লাখ লাখ প্রজাতির পরজীবীর মধ্যে বিপুল সংখ্যক আবার আমাদের বা আমাদের পশুসম্পদের জন্য ক্ষতিকর তো নয়ই, বরং ভীষণ উপকারী। এই পরজীবীরা দলবদ্ধভাবে একটি সুস্থ বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । এইসব উপকারী পরজীবীদের বাচিঁয়ে রাখতে হবে। এবিষয়ে গবেষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে এবং এ বিষয়ে জ্ঞান আরও বৃদ্ধি করতে হবে।