সাংবাদিকতায় একটি বড় ক্ষেত্র হলো কৃষি সাংবাদিকতা: কুড়িকৃবি উপাচার্য

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বর্তমানে সাংবাদিকতায় একটি বড় ক্ষেত্র হলো কৃষি সাংবাদিকতা। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা প্রতিষ্ঠানিকভাবে কৃষি সাংবাদিকতা কোর্সটি রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, যাতে কৃষির বিষয়গুলোকে দ্রুত স্টেক হোল্ডারদের মাঝে ছড়ানো যায়। কৃষির নতুন নতুন উদ্ভাবন যত দ্রুত সংবাদের মাধ্যমে ছড়ানো ও সম্প্রসারণ করা যাবে, দেশের কৃষি ততই এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরো বেশি ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) 'দায়িত্ব হস্তান্তর ও বিদায়ী সংবর্ধনা -২০২৩' অনুষ্ঠানে এসকল কথা বলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুড়িকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।

২৭ জানুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মিনি কনফারেন্স রুমে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাকৃবিসাস। অনুষ্ঠানে বাকৃবিসাসের কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪ ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটির সভাপতি দৈনিক খবরের কাগজের বাকৃবি প্রতিনিধি মো. রাফি উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালবেলার বাকৃবি প্রতিনিধি মো. সাকিব আল তানিউল করিম জীম।

১৪ সদস্যবিশিষ্ট ওই কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান (দৈনিক বাংলা), যুগ্ম-সম্পাদক মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর (দৈনিক মানবজমিন), সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে খারুল ইসলাম সৈকত (দৈনিক খোলা কাগজ), কোষাধ্যক্ষ মো. আমান উল্লাহ (দৈনিক ইত্তেফাক), দপ্তর সম্পাদক ইসরাত জাহান (প্রথম আলো), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. লিখন ইসলাম (নয়া শতাব্দী) এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী (সময় জার্নাল)।

এছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন আবুল বাশার মিরাজ (দৈনিক কালের কন্ঠ), শাহীন সরদার (দৈনিক যুগান্তর) ও হাবিবুর রহমান রনি (আজকের পত্রিকা) এবং কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাকিবুল হাসান (দৈনিক ইনকিলাব) এবং আশিকুর রহমান (সমকাল)।

সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুণ-অর-রশিদ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা নিজের জীবন পর্যন্ত বাজি রাখেন। বাকৃবির সাংবাদিকদেরকেও একই নীতিতে কাজ করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি পরিবারের মতো। পরিবারের মতো এখানেও কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। সেই ভুলত্রুটিগুলো পত্রিকার পাতায় তুলে ধরলে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকার হয় তাহলে সে বিষয়টি অবশ্যই সংবাদ আকারর প্রকাশ করতে হবে। যেকোনো সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথাটি মাথায় রাখতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে টিভি চ্যানেলগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য। প্রতিদিন একঘন্টা করে তাদের স্ক্রীনে আমরা সময় দিবো এবং কৃষির উন্নয়ন ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করব। বাকৃবির সাংবাদিকদেরকেও আমি সেভাবেই প্রস্তুত হতে বলব। তাঁরা যেন মাল্টিমিডিয়ার সাথে খাপ খাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে পারে সে লক্ষ্যেই তাদের প্রস্তুতি নিতে বলব আমি।