পাবনা’র আটঘরিয়ায় গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ এর মাঠ দিবস

মোঃ গোলাম আরিফ:কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আটঘরিয়া পাবনা’র আয়োজনে গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৫ নভেম্বর ২০২৩ আটঘরিয়ার হাজীপাড়ায় অবস্থিত পলিনেট হাউজ প্রাঙ্গনে এ মাঠ দিবস এর আয়োজন করা হয়। কৃষিবিদ সরকার সফি উদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, কৃষি একটি নিবিড় প্রযুক্তি নির্ভর পেশা। কৃষিকে লাভজনক করতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বিকল্প নেই। কৃষিকে লাভজনক ও যন্ত্র নির্ভর করতে কৃষি বিভাগ নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে কৃষকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। কোন আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিকেই অবহেলা করা যাবে না, সাদরে গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই সফল হওয়া যাবে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষীদের সফলতা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি আরো বলেন, গতানুগতিক ফসল চাষ না করে প্রযুক্তি গ্রহণ করে উচ্চ মূল্যের ফসল চাষ করতে হবে। পলিনেট হাউজ, ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম, বস্তায় আদা চাষসহ অন্যান্য প্রযুক্তির উপর আলোকপাত করেন। প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে কৃষি উৎপাদন অব্যহত রাখতে উপস্থিত সকলকে আহবান করেন।

অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা সভাপতিত্ব করেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকতা মোঃ আরিফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ রোকনুজ্জামান, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য)। স্বাগত বক্তব্য ও গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ এর প্রদর্শনী সম্পর্কে আলোচনা করেন কৃষিবিদ মোঃ সজীব আর মারুফ, উপজেলা কৃষি অফিসার, আটঘরিয়া, পাবনা।

মাঠ দিবসে গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ চাষ করে সফলতার গল্প উপস্থাপন করেন মোঃ আব্দুল হান্নান ও দুলাল মৃধা। এসময় সফল কৃষক মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, ৩৩ শতাংশ জমিতে ১ লক্ষ টাকা খরচে গ্রীষ্মকালীন বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ চাষ করে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। গাছে যা ফল আছে আরো ৩ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষি উদ্যোক্তা, প্রগতিশীল কৃষক-কৃষানীসহ ১৮০ জন উপস্থিত ছিলেন।