জমির খন্ডায়ন কমিয়ে বড় স্কেলের কৃষি ফার্ম স্থাপন প্রয়োজন

আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের কৃষি প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিবছর প্রায় দুই শতাংশ কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। জমির এই পরিবর্তন ও কমে যাওয়াটা রোধ করা অসম্ভব। তবে প্রজন্ম সূত্রে ঘটে যাওয়া জমির খন্ডায়ন কিভাবে কমানো যায় ও সেগুলো একত্রিত করে কিভাবে বড় আকারে ফার্ম স্থাপন করা যায়, টেকসই কৃষির জন্য সে মডেল তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) "বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি" শীর্ষক অনুষ্ঠিত এক আঞ্চলিক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের যৌথ আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি আরোও বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি তা টেকসই করারও চেষ্টা করতে হবে। কিভাবে আমাদের কৃষি পণ্যের উৎপাদন প্রতি এককে আরো বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আমাদের সকল সেক্টরের সমন্বিত কাজ প্রয়োজন। সেই সাথে কৃষি পন্যের গুনগত মান ঠিক রাখাটাও আবশ্যক। আর উৎপাদনের পাশাপাশি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করাটাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাকৃবির এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার মন্ডল। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে জাপানের সর্বোচ্চ বেসামরিক এওয়ার্ড পাওয়ায় ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে ড. এম. এ. সাত্তার বলেন, বাংলাদেশের কৃষি জমি প্রতিনিয়তই খন্ডিত হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। ক্রমশই কৃষি কাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কৃষকেরা। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর পর হয়তো আর ছোট স্কেলে কৃষি কাজ দেখা যাবে না। তখনই প্রয়োজন পড়বে বানিজ্যিক কৃষির। বড় স্কেলে কৃষিকাজ শুরু না হলে ভবিষ্যতে কৃষির হাল ধরার মতো কেউ থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কৃষি অর্থনীতির প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য করনীয় নিয়ে একটি মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। এবং অনুষ্ঠানের শেষের দিকে টেকনিক্যাল সেশনে কৃষি অর্থনীতির উপর মোট ২৫ টি পেপার উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল।