ইসলামিক ডেস্ক: আকাশ ও পৃথিবীতে আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামত রয়েছে যা গুনে শেষ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। তেমনি চতুষ্পদ প্রাণি আল্লাহর দেওয়া হাজারো নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম। আকার-আকৃতি, শক্তি-বলে এগুলো মানুষের চেয়ে বহু ক্ষমতাবান, কিন্তু তা সত্ত্বেও আল্লাহ এগুলো মানুষের অধীন করে দিয়েছেন।
আমরা এগুলোকে নিজ প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। বর্তমানে চাষাবাদে কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়লেও হাল-চাষ, পণ্য পরিবহনে গরু. ঘোড়া, মহিষের এখনও কদর রয়েছে। এছাড়া দুগ্ধপান, গোশত, চামড়া দিয়ে আমরা দৈনন্দিন নানা কাজে উপকৃত হই। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি এগুলো তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। এগুলোর কতক তাদের বাহন আর কতগুলো তারা আহার করে।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত : ৭২)
মানুষ চতুষ্পদ জন্তু থেকে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়। কোরআনের বিভিন্ন সুরায় মহান আল্লাহ সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এগুলোর দুধ মানবদেহে পুষ্টি জোগায়। দুধ ছোট-বড় সব মানুষের জন্যই উপকারী। চতুষ্পদ জন্তুর চামড়া ও পশম থেকেও মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়। আধুনিক যুগে পশুর চামড়ায় পাদুকার ব্যবহার করা হয়। এমনকি চতুষ্পদ জন্তুর দাঁত ও হাড় দিয়েও বিভিন্ন আসবাব তৈরি করা হয়। সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে আমিষজাতীয় খাবারের জুড়ি নেই। মরু কিংবা পাহাড়ি অঞ্চলে পরিবহনের জন্য এখনো চতুষ্পদ জন্তু ব্যবহৃত হয়।
অতএব মহান রাব্বুল আলামিনের এ নিয়ামতকে আমরা যত্ন সহকারে লালন-পালন করি। তাদের অধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সে আমল করার তাওফিক দিন।-আমিন