অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন
ভূমিকা:
বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে একটি গৌরবজনক অবস্থান অর্জন করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট মাছ উৎপাদন ছিল ৪৯.১৫ লাখ মেট্রিক টন, যা বিশ্বে ৫ম বৃহত্তম মাছ চাষ, ৪র্থ বৃহত্তম তেলাপিয়া উৎপাদনকারী এবং ১ম ইলিশ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতির যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে এই সফলতার পেছনে রয়েছে একটি অদৃশ্য পরিবেশগত খরচ - গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমন।

বাকৃবি প্রতিনিধি-টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের সেরা বৈজ্ঞানিক জার্নালের স্বীকৃতি অর্জন করেছে 'জার্নাল অব অ্যাডভান্সড ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল রিসার্চ' (জাভার)। ওয়েব অব সায়েন্সের তথ্যানুসারে, এটি বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরপ্রাপ্ত জার্নাল। একইসঙ্গে, স্কোপাসের মূল্যায়নে বাংলাদেশের একমাত্র কিউ২ ক্যাটাগরির জার্নাল হিসেবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।

সমীরণ বিশ্বাস:বর্তমানে কৃষিতে ফলন বৃদ্ধি, আগাছা নিয়ন্ত্রণ ও রোগ-পোকা দমনের জন্য মালচিং পদ্ধতির ব্যবহার ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে উদ্বেগজনকভাবে কৃষকরা অধিকহারে অজৈব পলি বা প্লাস্টিক মালচিং, বিশেষ করে পলি বা পলিথিনজাত মালচিং ব্যবহার করছেন। কারণ হিসেবে এর তুলনামূলকভাবে কম মূল্য, সহজলভ্যতা ও তাৎক্ষণিক ফলনের উন্নতি অন্যতম। কিন্তু এই সুবিধার আড়ালে লুকিয়ে আছে মারাত্মক পরিবেশ ও কৃষি হুমকি।

মো. রেজুয়ান খান: বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ফল উৎপাদনের জন্য এক অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উঁচু পাহাড়, টিলা এবং সমতল জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফল জন্মায়। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে এই এলাকার সমতল ও উঁচু স্থানে আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা এবং আনারসের ফলন হয়। সারাবছর মৌসুমি ফল উৎপাদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই অঞ্চলের স্থানীয় বাজারগুলো এখন মৌসুমি ফল বিক্রয়ের জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে।

বাকৃবি প্রতিনিধি-ব্রুসেলোসিস একটি ভয়াবহ ব্যাধি যা গৃহপালিত পশু, বন্যপ্রাণী এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীদের আক্রান্ত করে থাকে। এটি জুনোটিক রোগ হওয়ায় পশু থেকে সহজেই মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় এবং গবাদি পশুতে দুধ উৎপাদন হ্রাস, গর্ভপাত এবং উৎপাদনক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে খামারিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

সমীরণ বিশ্বাস:নারিকেল বাংলাদেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বাগানজাতীয় অর্থকরী ফসল। এ গাছের ফল, পাতা, কাণ্ড ও অন্যান্য অংশ বিভিন্নভাবে ব্যবহারযোগ্য এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। নারিকেল শুধু খাবার ও তেলের উৎস হিসেবেই নয়, নির্মাণ, ধর্মীয় ও ঔষধি কাজেও ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে নারিকেল চাষ সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জমির ক্রমহ্রাস ও অনিয়ন্ত্রিত চাষাবাদের ফলে নারিকেল উৎপাদনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে আধুনিক চাষ পদ্ধতি, সঠিক জাত নির্বাচন, সার প্রয়োগ, সেচ ও রোগব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করে নারিকেল উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন সম্ভব। এই প্রেক্ষাপটে নারিকেল চাষের বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক সার প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে একদিকে যেমন কৃষকের আর্থিক উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।