ইসলাম পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য বিশেষ তাগিদ দিয়েছে

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক:ইসলাম পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য বিশেষ তাগিদ দিয়েছে। আল্লাহর নবী বেশি বেশি বৃক্ষরোপণের কথা বলেছেন। কেননা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এজন্য বিনা প্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন বা বৃক্ষের পাতা পর্যন্ত ছিঁড়তে মহানবী (স) নিষেধ করেছেন। তিনি যুদ্ধ কালীন সময়েও বৃক্ষ কর্ত্তন ও ফসল বিনষ্ট থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। জনৈক ব্যক্তি একটি গাছের পাতা ছিঁড়লে রাসূল (স) বলেন “প্রত্যেকটি পাতা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে”। কাজেই পাতা ছিঁড়বে না। গাছ-পালা বায়ু দূষণ রোধ করে। বায়ু থেকে দূষিত গ্যাস শোষণ করে পরিবেশকে নির্মল রাখে। বায়ু যাতে দূষিত না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

মানুষ  সৃষ্টির সেরা  জীব।  মানুষের  জন্যই  এই  পরিবেশের সব কিছু। মানুষই পরিবেশকে নষ্ট করে।  মানুষের যাবতীয় কর্মকাণ্ডে মহান আল্লাহর প্রতিটি করুণা সর্বদাই স্মরণ রাখতে হবে। আমরাই বায়ুকে নানাভাবে দূষিত করে তুলি। ময়লা-আর্বজনা ফেলে, গাড়ি, কল-কারখানার ধোঁয়া, ধূমপানের ধোঁয়া ইত্যাদি দিয়ে অহেতুক আমরা নিরন্তর বায়ু দূষিত করে চলেছি। সারা বিশ্বে তাই আমাদের সৃষ্ট দূষণে বায়ু দূষিত হয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সীনা বলেছেন “পৃথিবীর এত ধূলি, ধোঁয়া ও গ্যাস যদি মানুষের ফুসফুসে না ঢুকত, তাহলে মানুষ হাজার বছর ধরে সুস্থ শরীরে জীবিত থাকত।”

আমাদের জীবন ধারণের আরও একটি বড় উপাদান পানি। পানির অপর নাম জীবন। সকল শ্রেণীর প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য। বিশুদ্ধ পানি সুস্থ জীবনের জন্য আরও বেশি প্রয়োজন। পানি দূষিত করা মারাত্মক অমার্জনীয় অপরাধ। আল্লাহর রাসূল পানিতে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। পানির উৎস মুখে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, পানির অপচয় করা, অপবিত্র শরীর নিয়ে বদ্ধ পানিতে গোসল করা ইত্যাদি ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ। মহানবী (স) বলেছেন, -“ প্রয়োজন হলে পানি তুলে গোসল করবে।” সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। আর মানুষই তখন কষ্ট পায়।

অনুুরূপভাবে আমাদের সামাজিক পরিবেশের সব কিছুকে সংরক্ষণ করাও আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। তাই পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, আমরা মানুষেরাই পরিবেশ নষ্ট করছি। নানাভাবে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করার জন্য আমরাই দায়ী। তাই পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হবে হবে।