শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো নিঃসন্দেহে বরকতময় ও পুণ্যময় কাজ

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক:চলছে শীদের মৌসুম। এসময় দেশে বিশেষ করে উত্তরের মানুষেরা শীতে কাবু হয়ে যান। কাজেই সমাজের বিত্তবান মানুষেরা যদি যে যার সাধ্যমত এগিয়ে আসেন তাহলে শীতার্থ মানুষরা বড়ই উপকৃত হন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইবাদত। নিঃস্ব, নির্যাতিত ও বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা, তাদের প্রতি সহানুভূতি-সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করা নিঃসন্দেহে বরকতময় ও পুণ্যময় কাজ। ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে।

মানুষের কষ্ট, দুর্দশা দেখে যার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় না সে প্রকৃত মুমিন নয়। বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বদা অসহায় নির্যাতিত ও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতেন, তাদের দিকে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। শুধু তাই নয়, তিনি সমাজের বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামক একটি সেবামূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন; যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল দুস্থ-অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।

যারা নিঃস্ব, অভাবী ও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত এতিম ও বন্দীদের খাবার দান করে। তারা বলে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা তোমাদের আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।’ সুরা দাহর, আয়াত ৮-৯।

হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে (মুসলমান) ব্যক্তি কোনো বস্ত্রহীন মুসলমানকে কাপড় পরিধান করায়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে সবুজ পোশাক পরিধান করাবেন। যে ব্যক্তি কোনো ক্ষুধার্ত মুসলমানকে খানা খাওয়ায়, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফলসমূহ খাওয়াবেন।- আবু দাউদ।

আসুন আমরা সমাজের অসহায় দু:স্থদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সে কাজে উৎসাহিত করুন।-আমিন।