জৈব কৃষির প্রয়োজনীয়তা এবং ফিরে দাও সেই অরণ্য!

Category: গবেষণা ফিচার Written by agrilife24

ড. জগৎ চাঁদ মালাকার:প্রাকৃতিক উপায়ে জৈব উপকরণ ব্যবহার করে যে কৃষি কাজ করা হয় তাকে জৈব কৃষি বলে। আমাদের চার পাশে যা কিছু আছে অর্থাৎ গাছ-পালা, মানুষ, পশু পাখি, মাটি, পানি, বাতাস, এসব নিয়ে পরিবেশ গঠিত হয়। কৃষি উৎপাদনের সাথে জড়িত উপাদান যেমন কৃষি জমি, ফসল, রোগ-বালাই,পোকা-মাকড়, পানি, বায়ু আলো, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত এসব নিয়ে কৃষি পরিবেশ গঠিত। মাটি ফসল ফলানোর একমাত্র মাধ্যম। জৈব সার মাটির প্রাণ।

আদর্শ মাটিতে শতকরা ৫ ভাগ জৈব পদার্থ থাকা দরকার অথচ গড়ে আমাদের দেশের মাটিতে এর পরিমাণ ১-১.৫ ভাগ যা ফসল উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়। এর প্রধান কারন কৃষকগণ জৈব পদার্থের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তেমন সচেতন নয়। তাই এই সমস্যা নিরসনে জৈব সারের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। ভাল মাটি ভাল ফসলের জন্যে খুবই দরকারী।

বাংলাদেশে দিন দিন মানুষ বাড়ছে। এ ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটাতে এখন একই জমিতে বেশী ফসল উৎপাদন এবং দেশী জাতের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল জাতের আবাদ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল জাত স্থানীয় জাতের চাইতে অধিক হারে মাটি হতে খাদ্য ও পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। আবার প্রচলিত দেশী জাতগুলোও তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান মাটি হতে গ্রহণ করে থাকে। কৃষকরা মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ না করে শুধু রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে থাকে যা আবার সুষমও নয়। মাটিতে সঠিক মাত্রা জৈব ও রাসায়নিক সারের সমন্বয়ে সুষম সার প্রয়োগ করা না হলে ধীরে ধীরে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। আবার একই জমিতে বার বার একই ফসল আবাদ করলেও সে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।

জৈব কৃষি একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি যা পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে। এটি ফসলের গুণগতমান বৃদ্ধি করে। এতে জৈব বর্জ্য পূন: ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা রক্ষা করা হয়। জৈব কৃষিতে কম্পোস্ট, ফসলের অবশিষ্টাংশ, সবুজ সার, ফসল পর্যায়ক্রম, সুষম সারের ব্যবহার এবং কৃত্রিম সার ও কীটনাশক বর্জন করা হয়।   

এটি এক প্রকার কৃষি ব্যবস্থা যেখানে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে জৈব পদার্থের পূন: চক্রায়ন যেমন-কম্পোস্ট ও শস্যের অবশিষ্টাংশ, ফসল আবর্তন ও সঠিক কর্ষণের মাধ্যমে মাটি ও ফসলের উত্তম অবস্থা বজায় রেখে সুস্থ সবল ফসল উৎপাদন করা যায়। জৈব পদার্থ ব্যবহার করা ফসল খেতে সুস্বাদু, বিষমুক্ত এবং বাজার মুল্য ভাল পাওয়া যায়।

শস্য পর্যায়: মাটিস্থ পুষ্টি উৎপাদনসমূহকে সর্বাধিক সুবিধাজনকভাবে ব্যবহার করা এবং মাটির ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক অবস্থা ফসলের সর্বাধিক উৎপাদনের জন্য উপযোগী রাখার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট জমিতে দুই বা ততোধিক ফসল নিদিষ্ট পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বৎসরে বা একই বৎসরে বা একই বৎসরে বিভিন্ন মৌসুমে চাষ করার নাম শস্য পর্যায় বা শস্য চক্র। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই শস্য না জন্মিয়ে বিভিন্ন বৎসের বিভিন্ন ফসল পর্যায়ক্রমে  জন্মানোকে শস্যপর্যায় বলা হয়।

জৈব কৃষির প্রয়োজনীয়তাঃ মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা ঠিক রাখা, রাসায়নিক বালাইনাশক থেকে মানুষের যাবতীয় স্বাস্থ্যহানী কমানো, পরিবেশকে সংরক্ষণ করে পরবর্তী বংশধরদের জন্য উপযোগী রাখা, রাসায়নিক বালাইনাশক দ্বারা পরিবেশ দুষিত হওয়া রোধ করা, পৃথিবীর বুকে নিরাপদ জীবনযাপন (মানুষ, পশু-পাখি, জলজ প্রাণী), পরিবেশ সংরক্ষণ ও মাটির গুণাগুণ বজায় রাখার  জন্য জৈব কৃষি ব্যবস্থার প্রয়োজন।  

জৈব কৃষি পদ্ধতি:জৈব কৃষিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা অনুসরণ করে ফসল উৎপাদনের প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থ, খাদ্য উৎপাদন ও পানি ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। বংশানুগতভাবে সমন্বিত হয় এমন গাছপালা ফসল নির্বাচন করা হয়ে থাকে। এ ধরনের কিছু পদ্ধতি হলো: সারিবদ্ধ ফসল, মিশ্র/আন্তঃ ফসল, আচ্ছাদন ফসল, সবুজ সার, মালচিং।

জৈব বর্জ্য ব্যবহার:জৈব কৃষি ব্যবস্থা মাটির উর্বরতা রক্ষা ও খাদ্যোপাদান সরবরাহের জন্য জৈব বর্জ্যওে পুনঃচক্রায়নের ওপর নির্ভরশীল। আর গাছপালা হতে প্রাপ্ত কীটনাশক দিয়ে রক্ষা করা হয় ফসল। কিছু ওষুধি গাছ ব্যবহার করা হয়। এতে বুঝা যায় যে, কৃষিজ উৎপাদনের জন্য জৈব কৃষির সাফল্য নির্ভর করছে জৈব বর্জ্যওে ব্যবহারে দক্ষতার ওপর। এটি একাধারে পরিবেশ, মানুষের স্বাস্থ্য ও জৈব পরিবেশ সংরক্ষণ করতে সক্ষম। বাংলাদেশের কৃষকরা ফসল উৎপাদনে কম বেশি সার ব্যবহার করেন কিন্তু কাঙ্খিত মাত্রায় উৎপাদন পায়না। এর মূল কারণ হিসাবে বলা যায় সুষম মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করা। একটি সমস্যা প্রায়ই দেখা যায় রাসায়নিক সার মাত্রা অনূযায়ী দিলেও জৈব সার কম বা বেশি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে কম সার দেওয়াতে গাছ তার প্রয়োজনমত পুষ্টি উপাদান পায়না এতে করে কাঙ্খিতমাত্রায় ফলন দেয়না। অন্যদিকে বেশি জৈবসার দেওয়ার ফলে ফলন দিলেও সারের অপচয় হয় এতে করে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। তাই ফসলের কঙ্খিত ফলন পেতে এবং উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য সঠিক পদ্ধতিতে জৈব ও রাসায়নিক সারের সমন্বয়ে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা অতীব জরুরি। ১০০০ কেজি গোবরে ১০ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি ৭.৫কেজি, এম ও পি  ১০ কেজি সার পাওয়া যায়।

জৈব সার: পচনযোগ্য বাড়ির আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যে কোন আবর্জনাকে নিয়ম মাফিক ভাবে পচিয়ে যে সার তৈরি করা যায় এবং জীব দেহ থেকে প্রাপ্ত অবশিষ্টাংশ, পশুপাখির মলমূত্র এবং গাছপালার অবশিষ্টাংশ যা মাটির উর্বরতা রক্ষা ও ফসলের অধিক ফলনের জন্য ব্যবহার করা হয়  তাই জৈব সার। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলায় জৈব সার মাটিতে পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মাটিতে রস সঞ্চিত রাখে। ফলে খরা দেখা দিলে উদ্ভিদের পানি শূন্যতা মোকাবেলায় জমিতে জৈব সার প্রয়োগ কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং অতিরিক্ত পানি ও  লবণাক্ততা সহ্য করার ক্ষমতা থাকায় গাছের স্বাভাবিক অঙ্গজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। জমির মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমান দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। গবাদি পশু ও  গোচারণ ক্ষেত্র কমে যাওয়ায় জমিতে জৈব পদাথের্র যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই জমিতে জৈব পদার্থ যোগান দেওয়া অত্যন্ত জরূরী হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিতঝুকি মোকাবেলায় জৈব সার উৎপাদন ও এর ব্যবহারের মাধ্যমে বসতবাড়ি/কৃষি জমিতে সবজি উৎপাদনে সফলতা আনবে । ভোক্তারা বিষ ও কীটনাশক মুক্ত সবজি পাবে এবং মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভুমিকা রাখবে যা দূর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় খুবই কার্যকরী ।

মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়নে জৈব সারের গুরুত্ব

বিভিন্ন প্রকার জৈব সার:

খামারজাতসার: যে সার গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি ইত্যাদি গৃহপালিত জীবজন্তর মলমূত্র মিশ্রিত খড়কুটো সহযোগে খামারের একপাশে জমা করা হয় বা তৈরি করা হয় সেটিই খামারজাত সার।

গোবর সার: গোবর একটি জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত জৈব সার। গোবর পচন ও সংরক্ষণ ঠিকমত না হলে জৈব সার হিসেবে এর মান অনেক কমে যায়। সে জন্য গোবর উত্তমরূপে পচিয়ে ব্যবহার করা উচিত। যে জমিতে উপর্যুপরি ফসল ফলানো হয় সে জমিতে ভালোভাবে পচা গোবর ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

কম্পোষ্ট সার: কয়েকটি জিনিস একত্রে মিশিয়ে স্তরে স্তরে সাজিয়ে এ সার তৈরি করা হয়। কম্পোস্ট তৈরির কাজে কচুরিপানা একটি উৎকৃষ্ট উপাদান। এর সাথে আগাছা, শষ্যের অবশিষ্টাংশ, লতাপাতা ও বিভিন্ন পচন দ্রব্য একত্রে মিশিয়ে কম্পোস্ট তৈরী করা যায়। এছাড়া আবর্জনা সার, হাসঁমুরগির বিষ্ঠা, খৈল, হাড়ের গুঁড়ো, মাছের গুঁড়ো, ছাই ইত্যাদি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহৃত হয।  

ভার্মিকম্পোষ্ট/কেঁচো সার: কেঁচো ও গোবর, শষ্যের অবশিষ্টাংশ, লতাপাতা, তরকারির অবশিষ্টাংশ ও বিভিন্ন পচন দ্রব্য একত্রে মিশিয়ে কেঁচো সার ভার্মিকম্পোষ্ট সার তৈরী করা যায়।    

সবুজ সার: ধৈই্চা,বরবটি, শনপাট ইত্যাদি ৫০ থেকে ৬০ দিন বয়সের গাছগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া।

বাদামী সার: মুগ ডাল সংগ্রহের পর পরিপক্ক /বাদামী গাছগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া।                                                                                          

ভেষজ বালাইনাশক: জৈব উৎস বিশেষ করে উদ্ভিদ/উদ্ভিদাংশ থেকে উৎপন্ন বালাইনাশককে জৈব বালাইনাশক বলে। আমাদের দেশ আয়তনে ছোট হলেও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে খুবই সমৃদ্ধ। আবহমানকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গাছ-গাছালি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণেও গাছপালার ব্যবহার ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। গাছ-গাছড়া থেকে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার বালাইনাশক তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। কৃষক এটি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। নিম, তামাক, বিষকাটালী, নিশিন্দা, পাট বীজ, পুদিনা, গাজর, ধুতরা, ধনিয়া, রেড়ী, আকন্দ, শরিফা, রয়না, পিয়াজ, রসুন, ঢোল কলমী, ইত্যাদি গাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর পোকা দমন করা যায়। এদের মধ্যে নিম সেরা। এ থেকে তৈরি করা কীটনাশককে বলা হয় উদ্ভিদজাত কীটনাশক।উদ্ভিদের  দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন: পাতা, কান্ড, ফল, বাকল সংগ্রহ করে এদের নির্যাস বালাই দমনে ব্যবহার করা হয়। তাই জৈব বালাইনাশক বলতে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্য থেকে তৈরি বালাইনাশক যা ক্ষতিকারক পোকা ও রোগবালাই দমনে ব্যবহার করা হয়। সাধারনত জৈব বালাইনাশক পরিবেশ বান্ধব এবং উপকারী পোকামাকড় ও অনুজীবের জন্য কম ক্ষতিকর হিসেবে গন্য করা হয়। পক্ষান্তরে রাসায়নিক কীটনাশক পরিবেশ ও উপকারী পোকামাকড়ের জন্য হুমকি স্বরূপ। সুতরাং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশকের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে। কৃষকেরা যদি স্থানীয়ভাবে এটি তৈরি করতে পারে তবে দামও কম পড়বে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

উপসংহার: কৃষকরা মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ না করে শুধু রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে থাকে যা আবার সুষম ও নয়। মাটিতে সঠিক মাত্রা জৈব ও রাসায়নিক সারের সমন্বয়ে সুষম সার প্রয়োগ করা না হলে ধীরে ধীরে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। আবার একই জমিতে বার বার একই ফসল আবাদ করলেও সে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। তাই সঠিক পদ্ধতিতে জৈব ও রাসায়নিক সারের সমন্বয়ে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা অতীব জরুরী।

রাসায়নিক কৃষি উপকরণের এলোপাথাড়ি ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় জলে, স্থলে,অন্তরীক্ষে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। জনস্বাস্থ্য হচ্ছে মারাত্বক হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সারা পৃথিবীতে এখন জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। জৈব পদার্থ ব্যবহার করা ফসল খেতে সুস্বাদু, বিষমুক্ত এবং বাজার মুল্য ভাল পাওয়া যায়। সে ধারাবাহিকতায় বালাই ব্যবস্থাপনায় স্থান পেয়েছে জৈব বালাইনাশক এবং এর ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। মাটির গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য কিংবা মাটিতে উদ্ভিদের সবরকম খাদ্য উপাদানের ঘাটতি পূরণ করার স্বার্থে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। জৈব সার তৈরি ও ব্যবহারের প্রতি কৃষকদের ব্যাপকহারে সচেতন করতে হবে। জৈব সারে উদ্ভিদের প্রায় সব খাদ্য উপাদান কম বেশি আছে। মাটিকে জৈব পদাথে সমৃদ্ধ করতে পারলে মাটির ভৌতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে ফসল আবাদের অধিকতর উপযোগী  করে তোলা যায়। বিধায়, এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে হলে জৈব কৃষির কোন বিকল্প নাই।তাই এই কোভিডকালে বলতে ইচ্ছে করে হে বিধাতা- ফিরে দাও সেই অরণ্য!

লেখক:উপপরিচালক (এল.আর)
সংযুক্ত উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
ইমইেল:This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.