শেকৃবিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা'র আদরের ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেল এর ৬০তম জন্মদিন ও "শেখ রাসেল দিবস" পালিত হয়েছে।

আজ ১৮ অক্টোবর ২০২৩ (বুধবার) সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূইয়া শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম, ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এম শাহাবুদ্দিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: ফরহাদ হোসেন, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান খান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শেকৃবি'র শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেকৃবি শাখার সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেখ রাসেল দিবসের আলোচনায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভ‚ঁইয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় শিশু শেখ রাসেলও ঘাতকের নৃশংসতা থেকে রেহাই পায়নি। বঙ্গবন্ধুর সবকিছু নিশ্চিহ্ন করাই ছিল ঘাতকদের উদ্দেশ্য। ইতিহাসের এটি এক কলঙ্কিত অধ্যায়। শেখ রাসেলের দোষ ছিল এটাই যে তার পিতা বাংলা ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন। ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মম হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই।

একইভাবে ঘাতকদের উত্তরস‚রীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলকে নি:শেষ করতে চেয়েছিল। যারা এসব কুকর্ম করেছিল তারাই এখন গনতন্ত্রের কথা বলে, দেশ পুনর্গঠনের কথা বলে যা হাস্যকর। কাগজ কলম নিয়ে হিসেব করে দেখুন গত ১৫ বছরে দেশের উন্নয়নে কি হয়েছে আর কি হয়নি। তাহলে তুলনা করলে এই সরকারের অবদান বুঝতে পারবেন। দেশের উন্নয়নে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সহযোগিতা করা উচিত সকলের।

শিশুপুত্র শেখ রাসেলের ছবির দিকে তাকালে বুঝা যায় কি পরিমাণ প্রতিভাবান ছিল। আজ শেখ রাসেল আমাদের মাঝে নেই, তিনি বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে অংশীদার হতেন। তবে শেখ রাসেলের মতো প্রতিভাবান যারা আছে তাদেরকে দেশের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে কেক কাটা, দোয়া ও এক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ লুৎফর রহমান হল প্রাঙ্গনে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়।