“৭ই মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস উদ্যাপন করলো এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ”

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

ক্যাম্পাস ডেস্ক:অদ্য ৭ মার্চ, ২০২১ এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (ইবিএইউবি)-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় “৭ই মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস” উদ্যাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প¯তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এরপর সকাল ১০.০০ ঘটিকায় “৭ই মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস” উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোস্তফা মাহমুদ হাসান-এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসান। সভার শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শোনানো হয়।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে ৭ই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার আহবান সম্বলিত ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তাই আজকের দিনটিতে প্রথমবারের মত জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস  উদযাপন করা হচ্ছে এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন বিশাল জনসমূদ্রে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন লাখ লাখ মানুষের সামনে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ’। মূলত এইদিনের ভাষণই বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ৭১এর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হয়ে পরে। ৭ই মার্চের ভাষণের কারনে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতায় উদ্দীপ্ত হয়ে পরে। এই ভাষণের মাধ্যমেই বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা পেয়ে যায়। স্বাধীনতার যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন সেদিন বিকেল ৩টার সময় রেসকোর্স ময়দানে আসার সময়ই জনগণ ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে। বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের এই ঐতিহাসিক ভাষণের কারনেই ঘরে ঘরে মানুষ চুড়ান্ত স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে। এই ঐতিহাসিক ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের নিপীড়িত, অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষকে স্বাধীনতার যুদ্ধে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। একারণেই  ২০১৭ সালে এই ভাষণটিকে ইউনেস্কো বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। আমাদের মহান নেতার সেই স্বপ্ন পূরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার সেই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের উচিত সেই লক্ষ্যে কাজ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করা। প্রিয় শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করার আহবান জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

আরো বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ট্রেজারার (অ.দা) মোঃ শাহারিয়ার কবীর; কৃষি অনুষদের ডীন ও রেজিস্ট্রার (অ.দা) ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন; কৃষি অনুষদের কোঅর্ডিনেটর ড. শাহেব আলী প্রামাণিক।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (আইকিউএসি) ড. শামীমুল হাসান; পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ মকবুল হোসেন, পরিচালক (পিআরডি) ড. মোঃ সোহেল আল বেরুনী; কৃষি ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আশরাফুল আরিফসহ সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণে দুআ ও মুনাজাত করে অনুষ্ঠানের সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।