"রূপসী বাংলা ফিড" ব্র্যান্ড হিসেবে সারা দেশে খ্যাতি ছড়িয়েছে

Category: বিজনেস ও ইন্ডাস্ট্রি Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: খামারিবান্ধব ফিড উৎপাদন ও বিপণন করে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে কাজ করছে "রূপসী বাংলা ফিড" ব্র্যান্ড খ্যাত ছোঁয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ। ২০০৪ সালে মাত্র ঘন্টায় ৫ মে.টন উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয়। আর রূপসী বাংলা ফিড পূর্ন মাত্রায় বাজারজাতকরন করা হয় ২০১১ সালে। ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত পরিবেশকদের অফুরন্ত ভালবাসা, সরকারের সহযোগীতা, প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক পরিশ্রম, কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব টিপু সুলতানের সততা, নিষ্ঠা, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমের ফসল হিসেবে "রূপসী বাংলা ফিড" ব্র্যান্ড হিসেবে সারা দেশে খ্যাতি ছড়িয়েছে।

শনিবার (২ মার্চ) গাজিপুরের কাপাসিয়ার দস্যু নারায়নপুরে অবস্থিত ছোয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ-এর ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গনে বার্ষিক পরিবেশক সম্মেলন'২০২৩-এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করবেন মোঃ মাহবুবুর রহমান, এজিএম-সেলস এন্ড বগুড়া জোন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছোয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লি: এর ডিরেক্টর (সেলস এন্ড মার্কেটিং) ডি.এম ইকবাল।

ছোঁয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, এমপি, বিশেষ অতিথি জনাব মুশতাক হোসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড লিমিটেড এবং জনাব আবুল আলম ফেরদৌস, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি।

ছোঁয়া গ্রুপ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. মোঃ রেজাউল হক এবং জেনারেল ম্যানেজার সেলস এন্ড মার্কেটিং মোঃ শফিউল্লাহ পরিবেশকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেটৃ মাজহারুল ইসলাম, সেলিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আবুল কালাম মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান । এছাড়া মার্কেটিং বিভাগের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ জুবায়ের ইসলাম রাজু, মোঃ মোবাশ্বির হোসেন, মোঃ মাহাবুর রহমান, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ ।

বক্তারা বলেন, "রূপসী বাংলা ফিড" রয়েছে ৪০০ এর বেশি সক্রিয় পরিবেশক যারা শুরু থেকে অদ্যাবধি "রূপসী বাংলা ফিড" খামারী পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। ফ্যাক্টরীর বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ঘন্টায় ৭৪ মে.টন। যদিও শুরুটা হয়েছিল ঘন্টায় ৫ মে.টন উৎপাদন ক্ষমতা দিয়ে। সুতরাং খামারীদের চাহিদা মোকাবেলায় ছোঁয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ সর্বদায়ই প্রস্তুত রয়েছে।

মাছ চাষে খামারীদেরকে আরও উৎসাহী করে তুলতে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে "ছোঁয়া ফিশারিজ এন্ড হ্যাচারিজ লিঃ” যার মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে প্রায় বিশ হাজারেরও বেশি ফার্মাসকে উন্নত জাতের পোনা সরবারহ করা হয়েছে। ফিশারিজ সেক্টরে ২০২২ সালে উন্নত পোনা উৎপাদন এবং সরবারহের অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ গত বছর ছোয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ "মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রনালয়" থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করে।

গুনগত ও মান সম্পন্ন ফিড এবং উন্নত পোনা সরবারহ নিশ্চিত করার পরও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব টিপু সুলতানের ঐকান্তিক ইচ্ছায় শিঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে "ছোঁয়া ফ্রোজেন ফুডস্ লি:" যেখানে মাছ কেটে হিমায়িত করা হবে এবং পৌঁছে দেওয়া হবে সারা বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগনের নিকট।

সম্মেলনে সফল পরিবেশকদের পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া সকল পরিবেশকদের আকর্ষণী পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ আনিসুর রহমান দিপু , ডেপুটি ম্যানেজার (হিউম্যান রিসোর্স ডেভোলাপমেন্ট) এবং মামুনর রশিদ (এজিএম-এডমিন এন্ড এইচ.আর)।

সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরের সম্মানিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার, ডিজিএম, এজিএম, সকল ম্যানেজার, মার্কেটিং এর অন্যান্য সকল স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ছোয়া গ্রুপের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা সহ প্রায় ১৫০০ জন উপস্থিত ছিলেন।