পলাশবাড়ীতে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন কৃষিবিদ মোঃ রেজাউল করিম

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পৌরসভা ব্লকের উদ্ধুদ্ধকরনের মাধ্যমে স্থাপিত ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন কৃষিবিদ মোঃ রেজাউল করিম, পরিচালক, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং, কৃ‌ষি সম্প্রসারণ অ‌ধিদপ্তর, খামারবা‌ড়ি, ঢাকা।

গত ৮ ডিসেম্বর/২০২৩ রোজ শুক্রবার জেলার হরিনমারী গ্রামের ভার্মি কম্পোষ্ট পরিদর্শনকালে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং একজন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও পরিবেশের ভারসাম্য্য রক্ষায় কাজ করার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।ভার্মি কম্পোষ্টটি পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন উদ্ধুদ্ধকরনের মাধ্যমে মোছাঃ আয়েশা খাতুনের বাড়ীতে স্থাপন করেন।

ভার্মি কম্পোষ্টটি পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ খোরশেদ আলম, উপ প‌রিচালক, ডিএই,গাইবান্ধা,কৃষিবিদ জনাব মোঃ রোস্তম আলী,অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান), ডিএই,গাইবান্ধা ও কৃষিবিদ ফাতেমা কাওসার মিশু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পলাশবাড়ী।

মোছাঃ আয়েশা খাতুনের কোন আয়ের উৎস না থাকায় কষ্টে কোন রকম জীবন যাপন করছিলেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা,শর্মিলা শারমিনের পরামর্শে ভার্মি কম্পোষ্টের ১০ রিং বসান। ভার্মি কম্পোষ্ট সার বিক্রি ভাল হওয়ায় তিনি রিং সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৬০ টিতে উন্নীত করেন। ৬০টি রিং থেকে মাসে প্রায় ২০০০ কেজি সার উৎপাদন করেন। সার বিক্রি করে তার মাসিক আয় ২০০০০/- টাকা বলে আয়শা খাতুন জানান।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন জানান রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে আনা ও ভার্মি কম্পোষ্টের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কৃষককে নিযমিত পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। উদ্ধুদ্ধকরনের মাধ্যমে আয়শা খাতুন একজন নারী উদ্যোক্তা রুপে আর্বিভূত হয়েছেন। কৃষকের কল্যানে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।