প্রতিদিন অনেক মানুষ গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ বারি-৫-এর ফলন দেখতে মতিউর-এর কাছে আসে

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

এম আব্দুল মান্নান: এসডিএস এর ভাইদের সহায়তায় এবার গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষ করি। এক বিঘার মতো জমিতে পেয়াজ লাগিয়েছিলাম ঝড়-বৃষ্টির কারনে আমার ক্ষেতের অনেকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এরপরেও আমার ১৫ শতাংশে এখনো ভালো আছে। এখানে আরও অনেকে করছিল কিন্তু তাদের পেয়াজ লাগানোর আগেই নষ্ট হয়ে যায়। পেয়াজের সাইজ গুলো বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ এই পেয়াজ দেখতে আসে আমার কাছে পরামর্শ চায়। বীজ পেলে আগামীতেও আমি এই পেয়াজ চাষ করবো।

শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের চরজিংকিং বাজার সংলগ্ন এসডিএস অফিস মাঠে গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের পেয়াজ চাষের উপর মাঠ দিবসে পেয়াজ চাষি মতিউর রহমান সরদার তার ক্ষেতে পেয়াজ চাষের অনুভূতি এভাবে ব্যক্ত করেন। ।

আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় এসডিএস বাস্তবারিত PACE প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ পদ্ধতিতে সাধারণ ও উচ্চমূল্যের সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষকের আয়বৃদ্ধিকরণ উপ-প্রকল্পের গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষের উপর এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক কৃষক অংশ গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে কৃষক আলী মোল্লা-এর সভাপতিত্বে ও পেইজ প্রকল্পের এভিসিএফ মোঃ আল-আমিন মোল্লা এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শাহাজাহান সিমু, প্রকল্পের ভিসিএফ কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মান্নান, এসডিএস এর সমৃদ্ধি কর্মসূচির মোঃ মোকলেছুর রহমান, এভিসিএফ মো: খাইবুর রহমান খান প্রমুখ।



অনুষ্ঠানে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শাহাজাহান সিমু বলেন, আজকের মাঠ দিবসে না আসলে জানতামই না যে এখানে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষাবাদ সম্ভব। আমি নিজে মতি ভাইয়ের পেয়াজের ক্ষেতটি ঘুরে দেখেছি অনেক চমৎকার ফলন হয়েছে।  

তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনারাও গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষ করতে পারেন। এতে একদিকে দেশের ঘাটতি পেয়াজের চাহিদা যেমন পূরণ হবে অন্যদিকে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হতে পারবেন।

প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, পিকেএসএফ এর সহায়তায় এসডিএস বাস্তবায়নে এ বছর আমরা ২৯ জন কৃষককের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। তার মধ্য থেকে প্রথমবারের মতো মতি ভাই পেয়াজ চাষ করে যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য পেয়াজের তুলনায় এই পেয়াজ চাষে তুলনামূলক খরচ কম এবং বাজার দাম বেশি। একটু যত্নবান হলে এই পেয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কাচিকাটা শাখা-০১ এর ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম, ইকোলজিক্যাল ফার্মিং এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো:নাজমুস সাকিব, এভিসিএফ গনেশ কীর্ত্তনীয়া ও পেইজ প্রকল্পের এভিসিএফ একেএম সাইদুল ইসলাম।