বদলে যাচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের সুরুজ পূর্ব পাড়া

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নানাবিধ সুবিধা দিয়ে মডেল গ্রামে পরিণত করছে
কে এস রহমান শফি, টাঙ্গাইল: বদলে যাচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের সুরুজ পূর্ব পাড়া। এখানের ৫টি বাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে নানাবিধ সুবিধা দিয়ে মডেল গ্রামে পরিণত করছে। কৃষকরা এসব সুবিধা পেয়ে দারুণ খুশি। তারা আশা করছে পুরো গ্রাম এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে। পুরো এলাকা যেন ছবির মতো। তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন,এই এলাকার যে গ্রুপ করা হয়েছে ৩০ জনের, তারা সবাই এই সুবিধা পাবেন। ইতিমধ্যে এই গ্রুপকে একটি ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

সুরুজ পূর্ব পাড়াকে মডেল গ্রামে পরিণত করতে যেসব প্রদর্শণী দেয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: নিরাপদ সবজি বাগান, মিশ্র ফল বাগান, সবজি ফল ও ওষধি চারার ঘর, ভার্মি কস্পোস্ট সেড, খামারজাত সার উৎপাদন সেড, মাটি গোবর মিশ্রন সেড, ওষধি গাছের বাগান। এসব প্রদর্শনী স্থাপনের জন্য বীজ, সার, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

এসব প্রদর্শনী দেখতে গত শনিবার গিয়েছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ফসল অনুবিভাগের যুগ্ম প্রধান (যুগ্ম সচিব) মো. জালাল আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং এর কৃষি অর্থনীতিবিদ রেহানা সুলতানা। এসময় তাদের সাথে ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, টাঙ্গাইল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জিয়াউর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তুষার সাহা।

স্থানীয় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, কৃষকরা খুব সহজভাবেই এই প্রকল্পকে মেনে নিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা মডেল গ্রামে পরিণত করবে পুরো এলাকাকে। তাদের আর্থ, সামাজিক অবস্থানের পরিবর্তন হবে। পুরো এলাকা কৃষিতে এর প্রভাব পড়বে। বাড়িতে বাড়িতে শাক সবজির আবাদ বাড়বে। পুষ্টিকর খাবারের প্রত্যাশা পূরণ হবে। কৃষকের আয় বাড়বে। অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তুষার সাহা বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। কর্ম সংস্থানের সুষ্টি হবে। এখানের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে কৃষকের আয় বাড়বে। গ্রুপ গঠনের ফলে তারা সবাই মিলে একসাথে বাজার ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারবে। ফলে সবদিক থেকে তারা লাভবান হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষকরা খুব সহজেই এই প্রকল্পকে গ্রহণ করেছে। তাদের আগ্রহকে সামনে রেখেই এসব প্রদর্শণীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা যাতে সারা বছর শাক-সবজি খেতে পারে সেজন্যই নিরাপদ সবজি বাগান। ফল ও ওষধি গাছের বাগানের মাধ্যমে তাদের পুষ্টি চাহিদা মিটবে।