ঝিনাইদহের কৃষি বিভাগের পরামর্শে গড়ে উঠেছে মিশ্র ফল বাগান "রিজু এগ্রোফার্ম"

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:এক সময় ঝিনাইদহের কৃষকদের জীবন-জীবিকা ধান আর পাট চাষের ওপর নির্ভর করত। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এলাকার বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা নানা ধরনের শাকসবজি এবং ফলমূল চাষ করছেন। গড়ে উঠেছে মিশ্র ফল বাগান; তেমনি একটি মিশ্র ফল বাগান হলো "রিজু এগ্রোফার্ম"।

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা জমির উদ্দিন বিশ্বাস-এর এ মিশ্র ফল বাগান দেখতে প্রতিদিনই এলাকার উদ্যোক্তার ভিড় করছেন। সম্প্রতি এ মিশ্র ফল বাগানটি দেখতে আসেন কৃষিবিদ এ কে এম মনিরুল আলম, পরিচালক সরেজমিন উইং, ডিএই, ঢাকা।

পরিদর্শনের সময় কৃষিবিদ এ কে এম মনিরুল আলম ফল বাগানটি দেখে অভিভূত হন। ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের মিশ্র ফলের বাগান এর মাধ্যমে এলাকায় ঘটেছে ফল চাষের নীরব বিপ্লব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে মাল্টা/কুল/ড্রাগন এসব ফলের চাষ। এলাকার কৃষকরা বলেন তাদের জমিগুলি কূল, ড্রাগন, মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। পরিচালক, সরেজমিন উইং অর্গানিক ফার্মটির এসব কার্যক্রম খুব আগ্রহভরে দেখেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

পরিদর্শনকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ জাহিদুল আমিন, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, যশোর অঞ্চল, মোঃ আজগর আলী, উপপরিচালক, ডিএই ঝিনাইদহ, উপজেলা কৃষি অফিসারবৃন্দ।

ডিএই ঝিনাইদহ-এর উপপরিচালক মোঃ আজগর আলী জানান, তিনি ৯ একর জমিতে কুল, ড্রাগন, পেয়ারা ও পেপে চাষ করেছেন ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে।  ২০২০ সালে কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহন করে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে ফল চাষে মনোযোগ দেন জমির উদ্দিন বিশ্বাস। ভোক্তাদের মাঝে বিষমুক্ত ফল সরবরাহের লক্ষ নিয়েই ফল উৎপাদনের এবং দেশেই বিদেশি ফল উৎপাদন করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে চান তিনি। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই ফলচাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

মোঃ আজগর আলী জানান "আমরা কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছি। তিনি বলেন, তার মিশ্র ফল বাগানটি সফল হওয়ায় উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছি আমরা। এখানকার মাল্টাসহ অন্যান্য ফল চাষে বিদেশি ফল আমদানি অনেকাংশেই হ্রাস পাবে বলে আমরা আশা করছি।"