রাজশাহী অঞ্চলে ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ উদ্বোধন

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

মো. এমদাদুল হক:কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে রাজশাহী অঞ্চলে ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১ উদ্বোধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় ‘‘জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে, ইঁদুর মারি একসাথে’’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ইঁদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাজশাহী অঞ্চলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতি: পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. কে জে এম আব্দুল আউয়াল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনব্বাগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও রাজশাহী সরেজমনি কৃষি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এছাড়া নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনব্বাগঞ্জ জেলার সকল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসাণ অফিসার অনান্য সরকারি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারি ও বিভিন্ন পেস্টিসাইড কম্পানির কর্মকর্তাগন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে ইঁদুর নিধন অভিযান-২০২০ সালের রাজশাহী অঞ্চলে চারজন কৃষক বেশি সংখ্যক ইঁদুর নিধন করায় পুরস্কৃত হন। পুরস্কৃতরা হলেন রাজশাহী, গোদাগাড়ি উপজেলা গোপালপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র সরদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার, দেলবাড়ি গ্রামের মি: কর্ণে লিউস মুরমু, নাটোর সদর উপজেলার উলুপুর গ্রামের মো, মনিরুল ইসলাম ও নওগাঁ সদর উপজেলার জালম গ্রামের দীলিপ চন্দ্র ওরাও। এছাড়া তিনজন উপসহকারী কর্মকর্তা বেশি সংখ্যক  ইঁদুর নিধনে উৎসা প্রদান করায় নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয় তারা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার মো. আশরাফুল ইসলাম, অতনু সরকার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রী বিনয় কুমার কর্মকার এছাড়াও রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা পুরস্কৃত হন।

অনুষ্ঠানে আলোচকগণ জানান, খরা, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছাস প্রভৃতি কারণে প্রতি বছরই কমবেশি ফসলহানি ঘটে। এ ছাড়া ইঁদুর দ্বারা মাঠের এবং গুদামের অনেক ফসল নষ্ট হয়। ইঁদুর যা খায়, তার চেয়ে বেশি নষ্ট করে। তা ছাড়া ইঁদুরের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায়। ইঁদুর মুরগির খামারে গর্ত করে মুরগির ডিম ও ছোট বাচ্চা খেয়ে ফেলে।

ইঁদুর যে শুধু দানাদার ফসলের ক্ষতি করে তাই নয়, এরা অন্যান্য ফসল ও ফলমূল, আসবাবপত্র, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক প্রভৃতির ক্ষতি করে। বৈদ্যুতিক তার ও যন্ত্রপাতিও ইঁদুরের হাত থেকে রেহাই পায় না। ইঁদুর মানুষের ব্যক্তিগত এবং জাতীয় শক্রু। এসব ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে ১৯৮৩ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্ষাকালে ইঁদুর নিধনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এ সময় দেশের মাঠঘাট পানিতে তলিয়ে যায় এবং খাবার কমে যায় বিধায় ইঁদুর ঝোপজঙ্গল কিংবা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়। এসব আশ্রয়স্থলে উপযুক্ত দমন পদ্ধতি প্রয়োগ করে সহজেই ইঁদুর মারা যায়। এ সময় ইঁদুরের ব্যাপক ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষা করার পাশাপাশি ইঁদুর নিধন কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বোয়ালিয়া মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাহমিদা নাহার।