কমপ্লিট প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস চিকেন-তামান্না চৌধুরী

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:প্রোটিন এমন একটি উপাদান যা দেহের ক্ষয় পূরন, বৃদ্ধিসাধনসহ যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে থাকে এই প্রোটিন। শিশু স্বাস্থ্যের জন্য হোয়াইট মিট বা চিকেন মিটের উপকারিতা বিষয়ক এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান জনাবা তামান্না চৌধুরী চিকেনের নানাবিধ পুষ্গিুণ তুলে ধরেন।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, চিকেন থেকে সব ধরনের এমাইনো এসিড পাওয়া যায় বিধায় এটি কমপ্লিট প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস। শিশুরা দুধ ও ডিমের পাশাপাশি সবচেয়ে যে খাবারটি পছন্দ করে তা হলো চিকেন দিয়ে তৈরী নানাবিধ খাবার। যা শিশুর সুস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে চলেছে।

তিনি আরো বলেন, চিকেনের প্রোটিন থেকে প্রাপ্ত এমাইনো এসিড শিশুর গ্রোথ এবং ডেভেলপমেন্ট সহযোগিতা করে, এছাড়া চিকেন থেকে প্রাপ্ত B-6 শিশুর মেটাবলিজম বুস্টিংয়ে সাহায্য করে ফলে বাচ্চাদের এনার্জিটিক দেখায়। তিনি আরো জানান, নিয়মিত এবং সঠিক পরিমান চিকেন গ্রহণে অবেসিটি/স্থুলতা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। চিকেন থেকে প্রাপ্ত হিমোসিস্টিন বাচ্চাদের হার্টের জন্য ও বেশ উপকারী বলে জানান তিনি।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ অভিভাবকগণ বাচ্চাদের সুস্থ সবল দাঁত, হাড় এবং মাসল গঠনে চিন্তিত থাকেন। চিকেন থেকে প্রাপ্ত ফসফরাস এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গানুগুলো গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে বলে জানান তিনি। এছাড়া এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে চিকেন থেকে প্রাপ্ত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যেমন জিংক, আয়রণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বাড়ে যা গ্রোথ, মেন্টাল গ্রোথ এবং ফিজিকাল ডেভলপমেন্ট সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

শিশুদের প্রতিদিন চিকেন প্রদান করলে জাংক ফুডসহ বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকে শিশুরা যার ফলে তাদের ডাইজেশন সিস্টেম ও উন্নত হয়। শিশুর সুস্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রতিদিন সঠিক পরিমান চিকেন রাখার কথা জানান এই পুষ্টিবিদ।

দেশের পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত সুধীজনরা মনে করেন চিকেনের সঠিক গুনাগুন ভোক্তদের মাঝে তুলে ধরা প্রয়োজন। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণা থেকে অথবা অপপ্রচার থেকে প্রোটিনের অন্যতম উৎস চিকেন-এর পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ ভোক্তারা। তারা বলেন বর্তমান করোনাকালে বেশি বেশি প্রোটিন গ্রহণ করলে করোনা থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব। তাই এই ধরনের ভিডিও বার্তার মাধ্যমে চিকেনের সঠিক গুনাগুন ভোক্তাদের কাছে উপস্থাপন করলে খামারি থেকে ভোক্তা সকলেই উপকৃত হবেন বলে মনে করেন পোল্ট্রি শিল্পের সুধীজনরা।