গড় আয়ু বাড়াতে নিরাপদ খাদ্যগ্রহণের আহবান গণপূর্তমন্ত্রীর

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: শনিবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সেইফ ফুড কার্নিভালের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, "পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের গড় আয়ু বাড়াতে হবে। সেটা করতে হলে নিরাপদ খাদ্যগ্রহণের ব্যতিক্রম হলে চলবে না। তৈলাক্ত খাবার পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে।"

এ সময় মন্ত্রী বলেন, "পঁচা খাবার পরিহার করলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, আয়ুষ্কাল বাড়বে এবং মেধার দিক দিয়ে আমরা অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন হবো।"

নিরাপদ খাবারের সাথে নেতৃত্বের সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে মন্ত্রী বলেন, "নিরাপদ খাদ্যের আশ্রয়গ্রহণ করলে তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশসহ বিশ্বের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে। "

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক জনাব ফেরদৌস আহমেদ। তিনি বলেন, "আমরা সাধারণত বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। কিন্তু খাবার যদি উল্টা আমাকেই খেয়ে ফেলে তাহলে সে খাবার খাওয়া ঠিক না।"

খাবারককে বিষক্রিয়া পরিণত না করার আহবান করে তিনি বলেন, "নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ করলে পুরো দেশ হবে দশে দশ।"

এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য তিনি খাদ্য উৎপাদন পরিবেশন ও সংরক্ষণে সবাইকে সচেতন হবার অনুরোধ করেন

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। সেইফ ফুড কার্নিভালে অংশ নেয়া সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিরাপদ খাদ্যের এই পথচলায় সবার অংশগ্রহণ কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয় সেইফ ফুড কার্নিভাল। রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে মোট ৭০টি প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য নিয়ে কার্নিভালে হাজির হন। পিঠা প্রতিযোগিতা, আঞ্চলিক বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ম্যাজিক শো, পুতুল নাচ, জিআই পণ্য নিয়ে সেমিনার ও বিভিন্ন নামী ব্যান্ডের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ট্রান্সফ্যাট, পোড়াতেল, ফরমালিন, পারিবারিক নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা, '১৬১৫৫', খাদ্যকথন, কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা এবং নিরাপদ খাদ্যের চাবিকাঠিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয়।