নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বিএফএসএ'র উদ্যোগে ৩ দিনের মেলা শুরু

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

বিশেষ প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ)  উদ্যোগে শুরু হলো ৩ দিন ব্যাপী নিরাপদ খাদ্য মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় কোনো প্রবেশমূল্য নেই।

মেলায় কাজী ফার্মস্, স্কয়ার, এসিআই-এর স্বপ্ন, বেঙ্গল মিট, প্রাণ, শালিক চট্টগ্রামের মেজবান, বিক্রমপুর সুইটস্, রাজশাহীর কালাই রুটি, বগুড়ার দই, কুমিল্লার মাতৃভান্ডারসহ পাঁচ তারকা হোটেলের বিভিন্ন খাবার ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে।

এদিকে মেলার উদ্বোধনের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, মানসম্মত খাবার পেতে হলে একটু খরচ বেশি হয়। প্রয়োজনে অল্প খাব কিন্তু মানসম্মত খাবার খাব এই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সস্তা পেলেই বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। সেক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিতের পরেই কিন্তু কেনা উচিৎ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, একসময় আমাদের দেশ থেকে প্রচুর চিংড়ি রফতানি হতো। কিন্তু ক্ষতিকর জেলি মেশানোর পর থেকে রফতানি কমে যেতে শুরু করে। বিদেশে মানসম্মত পণ্যের চাহিদা আছে। তাই রফতানি করতে হলে মানসম্মত পণ্য নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে রফতানি যোগ্য পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। মসজিদের ইমাম যদি জুমার আগে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করেন তাহলে সচেতনতা বাড়বে। স্কুলের শিক্ষকরা তার লেকচারের আগে দুই মিনিট নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করলে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেলবে। এভাবে সবার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে যদি নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে বিষয়টি সহজ হবে। ইতোমধ্যে নিরাপদ খাদ্যবিষয়টি পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত তা যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী নিরাপদ খাদ্য পণ্যের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। খাদ্য ব্যবসায় উদ্যোক্তা তৈরি, জিআই পণ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করা, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পোড়া তেলের স্বাস্থ্যঝুঁকি অবহিতকরণ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে কার্নিভালে।