ফেসবুক, ইউটিউব সহ স্মার্ট যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কৃষিকে স্মার্ট করতে হবে

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

মোঃ আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশে যে বিষয়ের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হলো কৃষিতে সমৃদ্ধি। কৃষি সেক্টর আগামীতে হবে যন্ত্র নির্ভর ও বানিজ্যিক। এর ফলে কৃষি হবে রপ্তানিমূখী ও স্মার্ট। কৃষকের নিকট আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি দ্রুত পৌছাতে ফেসবুক, ইউটিউবসহ স্মার্ট যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কৃষিকে স্মার্ট করতে হবে।

শনিবার (৩ জুন) কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কার্যালয়, পাবনা কর্তৃক আয়োজিত “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট কৃষি” শীর্ষক সেমিনারে বক্তার এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপপরিচালকের কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ রুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল ফারুক, অধ্যক্ষ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী পাবনা, পাবনার ডাল গবেষণার কেন্দ্রের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: মহি উদ্দিন এবং কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দিন উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুরজিত সাহা রায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো: রোকনুজ্জামান, ডীন, যন্ত্র প্রকৌশল অনুষদ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মূল প্রবন্ধে আগামীর কৃষিতে ব্যবহারযোগ্য, সেন্সর IoT নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্মার্ট ওয়াটার, ন্যানো প্রযুক্তি, স্বনিয়ন্ত্রিত ট্রাক্টর, হার্বেস্টর, জেনেটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস ইত্যাদির মতো স্মার্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া আলোচনায় বলা হয়, রোবোটিক প্রযুক্তির সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তার নির্ভুল প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষিকে বহুমাত্রিক ক্ষেত্রে প্রসারিত করবে এবং স্মার্ট পর্যবেক্ষণের মধ্যে ফসলে নিখুঁত উৎপাদন কৌশলকে অনেক সহজ করে তুলবে। কৃষি সেক্টরে মানুষের পক্ষে করা অনেক জটিল ও সময় সাপেক্ষ বিষয়গুলি মাঠের তথ্য নিয়ে কাজ করে ফসল ব্যবস্থাপনাকে অনেক সহজ করে দেবে। স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থাপনায় আবহাওয়ার তথ্য, ফসলে আগাম রোগ পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করা, মাটির পিএইচ, পুষ্টিগুণ ও আদ্রতা পরিমাপ, ফসলের পরিপক্বতার সময় নির্ণয় পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

সেমিনারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পাবনা জেলার ডিএই জেলা/উপজেলার কর্মকর্তা, এটিআই, ডাল গবেষনা, এসসিএ, ব্রি, বারি, বিনা, এসআরডিআই, বিএমডিএ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, হর্টিকালচার সেন্টার, বিএসআরআই, এআইএস, বিএডিসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিযার সাংবাদিক, এআইসিসি’র কৃষকসহ ৫০ জন অংশগ্রহন করেন।