আগামীতে নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানী দিতে হবে-মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন- ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামীতে নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানী দিতে হবে, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে অন্য কোথাও পশু কোরবানী দেয়া যাবেনা। আজ ২২শে জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানের নগর ভবনে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসরণ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এবার কোরবানীর প্রথম দিনেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় তিন লক্ষাধিক পশু কোরবানী করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৭২টি নির্ধারিত স্থানে মাত্র ৪ হাজার ১শত ৪১টি পশু কোরবানী করা হয়েছে। নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহায় যত্রতত্র পশু কোরবানী করা থেকে বিরত রাখার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রয়োজনে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার ১২ ঘন্টারও কম সময়ে রাত ১২ টার মধ্যেই ডিএনসিসির সমগ্র এলাকায় কোরবানীর ১ম দিনের ১১ হাজার ৯ শত ৩৫ মেট্রিক টন বর্জ্যের শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কোরবানীর পশুর হাটের পাশেই স্লটারিং হাউজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ডিএনসিসি মেয়র।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবছর কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫ শত ৮ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়, কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো- ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪। এছাড়াও "সবার ঢাকা" মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কোরবানীর পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে নগরীর কোথাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য নগরবাসীর মাঝে যথাসময়ে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার বর্জ্য ব্যাগ, পরীক্ষামূলকভাবে পরিবেশসম্মত ও পঁচনশীল আরও ২০ হাজার বায়ো ডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটার আয়তনের ১ হাজার ৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়।

ডিএনসিসি মেয়র সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।