ADUST-এ“এগ্রিবিজনেস এডুকেশন ইন বাংলাদেশ:প্রসপেক্টস এন্ড চ্যালেঞ্জস”-শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ’ “এগ্রিবিজনেস এডুকেশন ইন বাংলাদেশ:প্রসপেক্টস এন্ড চ্যালেঞ্জস”-শীর্ষক ওয়েবিনার  গতকাল ২১ জুন বিকেলে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক ও কো-অর্ডিনেটর, মোঃ মাসুদুল হাসানের সঞ্চালনায় ওয়বেনিারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান  চেয়ারম্যান, দেশবরেন্য সাবেক সফল ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী জনাব মোঃ  লিয়াকত আলী শিকদার।

মূখ্য আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, চ্যানেল আই এর বার্তা প্রধান, জনাব শাইখ সিরাজ। আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন, বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এসিআই এগ্রিবিজনেস লিমিটেড, এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী, ড. এফ এইচ আনসারী, ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টের সম্মানিত সদস্য ডঃ এম শাহীন খান, এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্টের শ্রদ্ধেয় এডভাইজর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এর সম্মানিত ফেলো প্রফেসর ড. মির্জা হাসানুজ্জামান।   

ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন এগ্রিবিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রাণিবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ, ড. সোনিয়া তাবাসুম আহমেদ। শুরুতে তিনি বর্তমান পেক্ষাপটে এগ্রিবিজনেস বিভাগের চলমান শিক্ষা কার্যক্রম, এগ্রিবিজনেস শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন । এগ্রিবিজনেস শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে এগ্রিবিজনেস এডুকেশন চালু রয়েছে অনেক আগে থেকেই। যদিও কৃষি প্রধান বাংলাদেশের রন্ধে রন্ধে এগ্রিবিজনেস বিদ্যমান এবং এখানে এসিআই, প্রাণ এর মত অনেক বড় বড় এগ্রিবিজনেস কোম্পানি রয়েছে কিন্তু ২০০৬ সালের পূর্বে এই বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না।বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৬ সালে,অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এ্যাডাস্ট) এগ্রিবিজনেস বিষয়ের উপরে বিবিএ-ইন এগ্রিবিজনেস এবং ইএমবিএ-ইন এগ্রিবিজনেস ডিগ্রি চালু করে। এখানে সাধারণ কৃষি, মৎস ও কৃষি বনায়ন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের অনার্স কোর্সে ভর্তি করা হয় অথবা কৃষি বনায়ন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রীর শেষ করে বিএজিএড ডিগ্রী অর্জন করেছে তারা সরাসরি ইএমবিএ- ইন এগ্রিবিজনেস প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীদের জন্য সান্ধ্যাকালীন শিফটে ভর্তির সুযোগ আছে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম পরিদর্শন করা হয় যার ফলে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিল্প-কারখানায় বাস্তবে এগ্রিবিজনেস বিষয়ের প্রয়োগ দেখার সুযোগ তৈরি হয়।  অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ে নিয়মিত দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।   
 
ওয়েবনিারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ও মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের স্বনামধন্য অধ্যাপক,  প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।তিনি বলেন, এগ্রিবিজনেস এডুকেশনের কথা যদি বলি এগ্রিবিজনেস এডুকেশন মূলত শুরু হয়েছে আমেরিকায় । তারপর এই শিক্ষা সম্প্রসারিত হয়ে আমাদের দেশে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে এগ্রিবিজনেস নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেশ কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারিত করছে এবং সাথে সাথে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে এগ্রিবিজনেস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একটা সময় অনুধাবন করা হল যে অন্যান্য সেক্টরের মত এগ্রিবিজনেস থেকে ও বিজনেস করা সম্ভব। সেখানে ইনপুট হচ্ছে, সেখানে উৎপাদন হচ্ছে, সেখানে প্রসেসিং হচ্ছে, বিতরণ হচ্ছে, সেখানে ম্যানুফ্যাকচারিং, সব কিছু আছে।

প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যের সূত্রধরে, এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্টের এডভাইজর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক  প্রফেসর ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, তার বক্তব্যে বলেন,বাংলাদেশ গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে খাদ্যশস্যর উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বিশ্বে ‘রোল মডেলে’ পরিণত হয়েছে। এছাড়াও শাক-সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় এবং মাছ উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু পোস্ট হারভেস্ট লস কমানো যায়নি। বর্তমানে দেশে অনেক কৃষিপন্য উৎপাদিত হচ্ছে। সেসব পণ্যের ভ্যালু এডিশন করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারি বেসরকারি সকল সেক্টরের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি । এক্ষেত্রে এগ্রিবিজনেস শিক্ষায় যারা জড়িত, তাদের সাথে ইন্ডাস্ট্রির সাথে সমন্বয় করতে ও এগ্রিবিজনেস বিভাগের  শিক্ষার্থীদের এগ্রো ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।  

আলোচক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টের সদস্য  ডঃ এম শাহীন খান তার বক্তব্যে গ্রামীণ অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় কৃষি সেক্টরে এগ্রিবিজনেস বিভাগের পাশকৃত শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বর্তমানে কৃষি শুধুমাত্র উৎপাদন দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বেড়েছে এর ব্যাপকতা। কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণ, কৃষি পণ্য রপ্তানি ও উন্নয়ণে বাংলাদেশ তেমন অগ্রসর হতে পারেনি, যার ফলে কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য ও দেশ প্রত্যাশিত রপ্তানি আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের দেশে প্রায় ৩০০ এগ্রিবিজনেস কোম্পানি কাজ করছে, সুতরাং এগ্রিবিজনেস সেক্টরে রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ। দেশে এগ্রিবিজনেসের রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা তবে প্রয়োজন দক্ষ ও মেধাবী গ্রাজুয়েট। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এগ্রিবিজনেস এর ক্ষেত্রে মূল সমস্যাটি হল এগ্রিবিজনেসর জন্য কাঁচামাল সরবরাহকারী, কৃষক, ব্যবসায়ী, প্রক্রিয়া জাতকারী এবং সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে কার্যকর ভ্যালু চেইন লিংকেজ এর অভাব। একটি ভ্যালু চেইন এর ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের  প্রতিবন্ধকতা সামগ্রিক বাণিজ্য উত্পাদনশীলতার হতাশার কারণ হতে পারে এবং এর ফলস্বরূপ গ্রামীণ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের  সুযোগ সীমাবদ্ধ করে।  

আলোচক হিসেবে এসিআই এগ্রিবিজনেস লিমিটেড, এসিআই মটরস লিমিটেড ও এসিআই অ্যাগ্রোলিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. এফ. এইচ. আনসারী বলেন,কৃষি খাতে উন্নয়ন করার জন্য এগ্রিবিজনেস শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে কৃষি উৎপাদন বেরেছে কিন্তু বাণিজ্যিকিকরণ সে তুলনায় বাড়েনি। আমাদের শুধু এডুকেশন নয় স্কিল বেইজ এডুকেশন প্রয়োজন। উৎপাদন, প্রসেসিং ও মার্কেটিং এই তিনটি ভাগে এগ্রিবিজনেস বিভক্ত। কৃষিখাতে উন্নতি করার জন্য অধিক গবেষণার প্রয়োজন।
 
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক বাংলাদেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, চ্যানেল আই এর বার্তা প্রধান, জনাব শাইখ সিরাজ, তার বক্তব্যে বলেন, তিনি বলেন এগ্রিকালচার শুধু মাত্র কৃষি নয়, কৃষির সাথে জরিত সকল বিষয়। কৃষককে জানতে হবে কোথায় পণ্যের ভাল মূল্য পাওয়া যাবে। পণ্যর ন্যায্য মূল্য, ব্যাংক ঋণ সুবিধা, ইন্সুরেন্স সুবিধা ও পলিসিগত সমস্যা এ সব জাগায় আমরা এখন বিপর্যস্ত। আগামীর কৃষি হবে শতভাগ বাণিজ্যিক কৃষি। আর এ জন্য দরকার দক্ষ ও শিক্ষিত জনবল। এগ্রিবিজনেস শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ ও শিক্ষিত করে গড়ে তোলা সম্ভব। কৃষিতে এত কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে এতো উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তুু কৃষকের জীবনমানে উন্নয়ন হয়নি কেন কারণ কৃষিতে আমরা বৈশ্বিক বাজার এখন পর্যন্ত ধরতে পারি নাই।

বাংলাদেশ এবার প্রক্রিয়াজাতকৃত কৃষি পণ্য রপ্তানি করেছে মাত্র আধা বিলিয়ন ডলার। প্রক্রিয়াজাতকৃত কৃষি পণ্যের বৈশ্বিক বাজার যখন ২০২৪ সালে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার হবে তখন বাংলাদেশ রপ্তানি করবে মাত্র ১বিলিয়ন ডলার। তাহলে আমরা কোথায় আছি কিন্তু এতো সুবিধা কৃষিতে থাকার পরেও আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানি করতে পারতেছি না।যার ফলে ফুটপাতে বা ফেরি করে ড্রাগন ফল,স্ট্রবেরি বিক্রি করতে হচ্ছে। এই এগ্রিবিজনেস এডুকেশন এর মাধ্যমে স্কিল সম্পূর্ণ উদ্যোক্তা এবং এগ্রিবিজনেস জ্ঞান সম্পন্ন চাকরিজীবী তৈরি করতে হবে। তাতে করে কৃষিতে এক বিপ্লব সৃষ্টি হবে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি  ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব জনাব মোঃ লিয়াকত আলী সিকদার সভাপতির বক্তব্যে ওয়েবিনারে সংযুক্ত সবাইকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অন্যান্য আলোচকদের সাথে সহমত জ্ঞাপন করে তিনি এগ্রিবিজনেস বিষয়টি বিসিএস (কৃষি) এর অধীনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং এটি নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক দূরদর্শিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম কৃষিখাতের উপর গুরুত্বারোপ করেন। যুবকরা চাকরির পিছে না ঘুরে উদ্যোক্তা হলে, অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। কৃষি উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাতকরণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এগ্রিবিজনেস শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশ ও বহির্বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব। এগ্রিবিজনেস বিভাগ হতে পাসকৃত সকল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের কৃষি উন্নয়নের জন্য ব্যাপক অবদান রাখছে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এগ্রিবিজনেস প্রসার ও উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য করে তোলার জন্য অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এগ্রিবিজনেস বিভাগের গৃহীত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে তুলে ধরেন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরুপ প্রভাব প্রভৃতি কারণে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সংস্থান আজ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ অধিক ফসল উৎপাদন কৃষি বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে সবার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে দেশনেত্রী, দেশরতœ ও কৃষকরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং সুগন্ধি চাল রপ্তানি করছে। কৃষি পণ্য উৎপাদন করলেও ব্যবসায়িক পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে পচঁনশীল কৃষি পণ্য সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ ও বন্টন আজ অবধি সম্ভব হয়নি। তাই কৃষির উন্নয়নকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে কৃষি পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ, বন্টন নিশ্চিত করতে এক্ষেত্রে ব্যবসায়িক জ্ঞান ও মনোভাবের কোন বিকল্প নেই।   

সর্বোপরি, কৃষিকে আধুনিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করাই হচ্ছে এগ্রিবিজনেস শিক্ষার বড় চ্যালেঞ্জ। দেশ ও বিদেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ও ইএমবিএ ইন এগ্রিবিজনেস এর পাঠ্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্য করে কৃষি বিপণন,ব্যবস্থাপনা ও অর্থ সংস্থান,হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি,কৃষি পরিসংখ্যান,কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কোর্সসমূহ সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের এগ্রিবিজনেস সেক্টরের মিশন ও ভিশন অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আমার বিশ্বাস, এগ্রিবিজনেস  বিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষা নিয়ে গ্রহন করে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও দক্ষতার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দিলে কৃষক, উৎপাদক,ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সহায়ক কৃষি বিপণন ব্যবস্থা, কৃষি গবেষণা ও কৃষি ব্যবসায় উন্নয়নে যুগান্তকারী সাফল্য বয়ে আনবে।

ওয়েবিনা সফল করতে নিরলসভাবে সহযোগীতা ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছেন,অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং কমিউনিকেশন বিভাগের এডভাইসর,জনাব শাহারুল আলম মিনা। ওয়েবমিনারটি সরাসরি অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত হয়েছে।

সকল আলোচকদের, বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক ও কো-অর্ডিনেটর, মোঃ মাসুদুল হাসান অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।