ঝিনাইদহ শাকসবজি ফলমূল আবাদের একটি তীর্থস্থান-কৃষিবিদ আজগর আলী

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:ঝিনাইদহ শাকসবজি ফলমূল আবাদের একটি তীর্থস্থান। কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে অতি সহজেই উদ্যোক্তারা গড়ে তুলতে পারেন পারিবারিক সবজি-পুষ্টি বাগান। ঝিনাইদহ জেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পারিবারিক সবজি-পুষ্টি বাগান। একটি আদর্শ বাগান গড়ে তুলতে যেমন আগ্রহী হতে হয় ঠিক তেমনি বাগান করার প্রয়োজনীয় উপকরণ পেতে হয় হাতের নাগালে। কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা সবজি-পুষ্টি বাগান করতে উৎসাহিত করে কৃষকদের। আর আগ্রহীদের সহায়তায় হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরনসহ নানা কারিগরী সেবা দিয়ে কৃষকদের সমৃদ্ধ করছে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) কোটচাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার-এর কার্যালয়ে "আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বিতরণ" প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের নিকট কৃষি উপকরণ বিতরণকালে এমনটাই বললেন ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জনাব আজগর আলী।

তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ প্রান্তিক পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান করোনাকালীন সময়ে রোগ প্রতিরোধে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এ ধরনের বাগান সৃজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী এ ব্যাপারে তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। হাতে কলমে প্রশিক্ষণের  মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট  বিষয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জৈব সার এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে প্রশিক্ষণে উপস্থিত কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান কৃষিবিদ জনাব আজগর আলী।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কোটচাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোহসীন আলি, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হুমায়ুন কবির হিমু এবং এলাকার সচেতন গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে কৃষকদের মাঝে শাক-সবজির (লালশাক, ঢেড়শ, গিমা কলমি, বরবটি, চালকুমড়া) বীজসহ বিভিন্ন রকমের (পেয়ারা, চুইঝাল, কাশ্মীরি কুল, বলসুন্দরী কুল, চায়না লেবু, কাগজি লেবু, মাল্টা ইত্যাদি) ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া কৃষকের বাগানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের মাঝে প্লাস্টিকের নেট এবং প্রনোদণা হিসেবে প্রত্যেককে নগদ ১০০০ টাকা সম্মানী প্রদান করে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীরা ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বাড়ির পাশের অনাবাদী এবং পতিত জমি যে এত সুন্দর করে বাগান করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তারা আগামী বছরের মধ্যেই তাদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা নিজেরাই পূরণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।