চীনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

এসএম আল-আমিন, চীন প্রতিনিধি: চীনের বেইজিং এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপন করেছে।

রবিবার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু করেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান। এরপরে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। রাষ্ট্রদূতসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি পাঠ করা হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বার্তা।

বেইজিং এর স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় দূতাবাস কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য; বঙ্গবন্ধুর কূটনীতি ও বৈদেশিক নীতি” শীর্ষক অনলাইন ভিত্তিক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ড. এম নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় “৭ই মার্চের ঐতিহাসিক তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তব্য প্রদান করে বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, বর্তমান বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল এর অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
 
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্বের সেই ভাষণগুলোর একটি, যেগুলো বহু মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। কিউবান নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এ ভাষণ ছিল আসন্ন যুদ্ধ সম্পর্কে একটি ভীষণ কৌশলী পরিকল্পনা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান, চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরোর প্রধান ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি, বেইজিং বিদেশ অধ্যায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চাং ছিয়ং।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, চীনে বাংলাদেশি শিক্ষক ড. আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ-চীন শিল্প ও বণিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আল মামুন মৃধা। বেইজিংয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা হলেন, আভা সু, হিয়া, দিশা ও অনুপমা ইয়াং।

চীনের সরকারি কর্মকর্তা, চীনা ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারী, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সহ বাংলাদেশ স¤প্রদায়ের সদস্যসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে অংশ নেন।