নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধে আমালের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

আবুল বাশার মিরাজ:নারীদের প্রতিদিনের জীবনের সহিংসতা মোকাবিলার লক্ষ্যে বিনামূলে ২ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাল ফাউন্ডেশন। 'সিটি আলো' এবং 'উই ডু'-এর সহায়তায় 'রুখে দাঁড়াও : লড়বে নারী গড়বে দেশ' শীর্ষক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল, মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য এবং আইনি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হবে।

প্রতিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য- নারীরা যেন সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন এবং সম-অধিকার নিয়ে নির্ভয়ে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারেন। সম্পূর্ণ কোর্সটি সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের নারীরা পারিবারিকভাবেই বেশি সহিংসতার শিকার হন। এর মধ্যে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে দু'জনই সহিংসতার শিকার। এসবের অনেক ঘটনাই খবরের বাইরে থেকে যায়। গণমাধ্যমে ঘরের বাইরের সহিংসতা ও যৌন সহিংসতা যতটা গুরুত্ব পায়, পারিবারিক সহিংসতা ততটা গুরুত্ব পায় না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৭৫ শতাংশ প্রতিবেদনই ধর্ষণ বা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ সম্পর্কিত। অথচ বেশিরভাগ সহিংসতাই পারিবারিক। এ সহিংসতার শিকার প্রায় ৯৭ শতাংশ ভুক্তভোগীর অভিযোগ আদালতে শুনানির পর্যায়ে যায় না। সহিংসতায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র তিন দশমিক এক  শতাংশ নিজেদের পক্ষে বিচার পেলেও মামলা খারিজ বা অপরাধীকে খালাস দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাল ফাউন্ডেশন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে নারীদের যৌন হয়রানি ও সহিংসতাসহ নানাবিধি ঘটনার সাক্ষী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইশরাত করিম ইভ।

তিনি বলেন, 'আইন থাকার পরও রয়েছে নানা প্রতিবন্ধতা। যার কারণে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় ও বারবার একই ধরণের অপরাধ করতে  থাকে। এই প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যেই আমাল ফাউন্ডেশন দেশের ৬৪ জেলায় ‘রুখে দাঁড়াও’ প্রচারঅভিযান কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতার কাজটি করা হবে, দেশের আইন-কানুন সম্পর্কে নারীদের সচেতন করা হবে। এ কাজটিকে এগিয়ে নিতে ৬৪ টি জেলার ৬৪টি কমিউনিটি সংগঠনকে যুক্ত করে কাজটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'

ইশরাত করিম ইভ আরও বলেন, 'সংগঠনলোর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীরা আর যেন সহিংসার শিকার না হয় সেজন্য কাজ করবে। আবার কোথাও সহিংসতা কিংবা যৌন হয়রানি হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যেন ব্যবস্থা নিতে পারে সে বিষয়েও সহযোগিতা করবে আমাল ফাউন্ডেশন।