দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

Category: ফোকাস Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সরকার সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (৪ জুন) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ সভা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন অনেক দেশি মাছ পাওয়া যায়, যেটা কয়েক বছর পূর্বেও পাওয়া যেত না। মাছ-মাংস দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ আছে। এজন্য দেশে এগুলোর পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে হবে। এ কাজে মৎস্যজীবীহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার দেশীয় মাছ সংরক্ষণ করতে চায়। দেশীয় মাছ যাতে টিকে থাকে এবং সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষ খেতে পারে সে জন্য সরকার কাজ করছে। মৎসীজীবীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। যে মৌসুমে মাছ ডিম দেয় সে মৌসুমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছের পোনা কোনভাবেই আহরণ করা যাবে না। পোনা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সরকার চায় বড় আকারের মাছ মৎস্যজীবীরা আহরণ করবে। তাহলে মৎস্যজীবীরা যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশীয় মাছও টিকে থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের আরও যত্নশীল হতে হবে।

তিনি যোগ করেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীরা যাতে বেকার থাকতে না হয় সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কোথাও ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যান বিতরণ করা হচ্ছে,কোথাও গবাদিপশু বিতরণ করা হচ্ছে যাতে এসময় বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যায়।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দেশের সব খাতে উন্নয়ন করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কারো ভুল পরামর্শে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এস এম আশিকুর রহমান, পিরোজপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মো. আব্দুল বারী, নাজিরপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ সহায়তা হিসেবে গবাদিপশু ও মাছের পোনা বিতরণ করেন মন্ত্রী।