বিদায়ের অনুভূতি সবসময় হৃদয়ের গহীনে স্পর্শ করে

Category: ফোকাস Written by agrilife24

রাজধানী প্রতিনিধি:বিদায়ের অনুভূতি সবসময় হৃদয়ের গহীনে স্পর্শ করে। এ সময় অনেক সুখস্মৃতি মনে পড়ে যায়। আর সেটি যদি হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের মাঝে তাহলে তা হয় যেমন প্রাণবন্ত তেমনি মজার মজার অনেক ঘটনা মনে পড়ে যায়। এমনি বিদায় অনুষ্ঠানে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উপস্থিত থাকা বেশ কষ্টের তারপরও বিদায় দিতে হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন আবেগঘন অনুভূতি ব্যক্ত করলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিনিয়র-জুনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ।

৩০ ডিসেম্বর ছিল তাদের শেষ কর্মদিবস। অবসরের এই ক্ষনটিকে স্মরণীয় করে রাখদে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আন্তরিকতাপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহজাদা।



অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএলএস-এর পরিচালক প্রশাসন ডা.দেবাশীষ দাশ এর সভাপতিত্বে তাদের অবদানের কথা তুলে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (উৎপাদন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বিসিএস লাইভস্টক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোঃ ফজলে রাব্বী মন্ডল আতা, মহাসচিব ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. অসীম কুমার দাস ছাড়াও তাদের সহকর্মী, সহপাঠি বন্ধুরা। অনুষ্ঠানে বাকৃবির ছাত্রজীবন থেকে কর্ম জীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন তারা।



বিদায়ী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোহাম্মদ আলী বাবু (পরিচালক, বাজেট), ডা. আকতারুজ্জামান ভূঁইয়া (পরিচালক, বিসিএস লাইভস্টক একাডেমি), ডা. ইসহাক মিয়া (পরিচালক, লীভ রিজার্ভ) ডা. মোঃ হাফিজুর রহমান (ডিডি ষ্টোর), ডা. মোদাচ্ছের হোসেন বাবু (ডিএলও লীভ রিজার্ভ), ডা. বেগম জেসমিন এলি (ডিএলও লীভ রিজার্ভ)।

বিদায়ী অতিথিরা সকলেই কর্মজীবনে সহকর্মীদের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। আগামীদিনে পরের প্রজন্মের কর্মকর্তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে আরো সম্মানজনক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করবে এমনটাই আশা করেন তারা। দায়িত্বপালনকালে ডিএলএস-এর  সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন সদ্য অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাবৃন্দ।



বক্তারা বলেন সদ্য অবসরে কর্মকর্তারা সকলেনই ছিলেন সকলেই অত্যন্ত মেধাবী। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাদের অবদান ও দেখিয়ে যাওয়া পথ অনুসরণ করে নবীন কর্মকর্তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে আরো সমৃদ্ধ করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে অনেক কিছু দিয়েছেন এজন্য তারা সকলেই অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।  বিদায় সব সময়ই বেদনার ও কঠিন একটি বাস্তব উপলব্ধি। চাকুরী জীবনে সবাইকে একদিন বিদায় নিতে হবে সকলকেই আজকে যারা দায়িত্বে আছেন আগামীতে তারাও চলে যাবেন রেখে যাবেন হাজারো স্মৃতি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিডি (এনিমেল হেলথ) শাহিনুর আলম-এর উপস্থাপনায় সকলেই ছাত্র জীবন, কর্মজীবনের শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত অনেক স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা হৃদয়ের অনুভূতি থেকে ব্যক্ত করেন। সবশেষে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাঝে উপহার ও ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।