রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও বিশ্বমানে রূপান্তরে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করা হবে

Category: ফোকাস Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক,এমপি বলেন, বাংলাদেশের রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করে বিশ্বমানে রূপান্তরের জন্য সরকারি-বেসরকারি  সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করা হবে ।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেডিপিসি মিলনায়তনে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মু.আবদুল হাকিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জেডিপিসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম,এনডিসিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, রেশম উন্নয়ন বোর্ড এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বেসরকারি উদ্যোক্তগণ।  

মন্ত্রী বলেন, রেশম ও তাঁত শিল্প বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। রেশম শিল্প এবং রেশম চাষিদের ভাগ্যোন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন ও রেশম চাষিদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো উন্নয়নই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। এই শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপি তুলে ধরতে এ শিল্পকে আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে। এজন্য বেসরকারি খাতকে সাথে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন,  কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি আনতে হবে। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সুতার উপরে প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপ করার পরেও প্রতিযোগি দেশের সাথে পেরে উঠছি না। সুতরাং আমাদের প্রযুক্তিগত কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদেরকে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালো মানের সুতা উৎপাদন করতে পারি।