নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো বাকৃবি

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ওই নবীনবরণের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া সুলতানা, রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, 'বর্তমান সমাজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্যশস্য, ফলমূল, বীজ উৎপাদনে বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। আমি আশা করছি আজকের নবীনরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে য়াবে। শিক্ষক হিসেবে আমরা তখনই গর্ববোধ করবো, যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ^বাসীর কাছে দেশ এবং কৃষির সাফল্য তুলে ধরবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষার অনেক কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাকৃবিতে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছো তোমরা। দেশকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের বেশি কৃষি গ্র্যাজুয়েট দিয়েছে বাকৃবি। আয়তনে দেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী ৯৬ তম হলেও কৃষিপণ্য উৎপাদনে অবস্থান ১৪ তম। দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বার্ষিক আর্থিক মূল্য ৪ লক্ষ কোটি টাকারও অধিক। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে জলবায়ুগত প্রতিবন্ধকতা এখন বিরাট হুমকি। এসকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। সমান্তরাল জমি ছেড়ে ভার্টিক্যাল কৃষি নিয়ে এগোতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আইএলটিএসের একটি শাখা চালু করা হবে। যেকোনো পর্যায়ে উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত কাজ এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারণ করতে হবে। সকল চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে স্মার্ট কৃষিবিদ হতে হবে।'