বিশে সেবার দুয়ার খুলে রেখেছিল আমাল ফাউন্ডেশন

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

আবুল বাশার মিরাজ:২০২০ ভয়াবহ করোনা ভাইরাস সাথে নিয়েই কাটিয়েছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এ মহামারী ভাইরাসের বাহিরে ছিল না। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মাধ্যমে এখনো নাভিশ্বাসের কারণ এ করোনা ভাইরাস। তবে খুশির কথা ২০২০ এর শেষ দিকে ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার এবং সফল প্রয়োগ শুরু হয়েছে। হয়ত অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশেও এটির প্রয়োগ শুরু হবে। বাংলাদেশে করোনার এই পরিস্থিতি যখন থেকেই শুরু হয় তখন থেকেই মাঠে থেকে যোদ্ধার মত সেবা দিয়েছে আমাল ফাউন্ডেশন। করোনার বছরেও এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইশরাত করিম ইভ ফোর্বস ম্যাগাজিনে স্থান পান। এটি ছিল সংগঠনের পক্ষ থেকে তার অনন্য এক অর্জন। নিজেকে সেবার মাধ্যমে উজার করে দেওয়ায় এ অর্জনটি বাংলাদেশকে গৌরাবান্বিত করেছে বলে অনেকে মনে করেন।

করোনা কালে সেচ্ছাসেবী এ সংগঠন  সময়ের প্রয়োজনে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড ছিল কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়-দুস্থ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছানো। করোনাকালে সংগঠনটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজারের অধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে বারংবার বন্যা হলে, বনার্ত সেসব জেলার মানুষের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। বন্যায় ফসল ডুবে যাওয়া প্রায় ২ হাজার কৃষককে কৃষি সহায়তাও দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়াও রাস্তার অভুক্ত প্রাণিদের খাবার খাওয়ানো, রাস্তার ধারে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপনসহ অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

জানতে চাইলে আমাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইশরাত করিম ইভ বলেন, সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। একসাথে সবাই মিলে দিনরাত হাতে হাত রেখে কাজ করেছি। ২০১৫ সালে আমাল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই অসহায় মানুষের জীবন পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছি আমরা। এ কাজে আপনাদের সহযোগিতার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি জানি ২০২০ সবার জন্যই কঠিন ও দুর্বিষহ একটা বছর ছিল। আলহামদুল্লিাহ আমরা এখনো সুস্থ আছি, আমাদের পরিবারের সদস্যরা এখনো সুস্থ আছে। আমরা সবাই অনেক সাবধানে থাকবেন, আমালের সাথে থাকবেন , আমাল ফাউন্ডেশনের জন্য দোয়া করবেন। নতুন বছরের শুরুতে আমাদের প্রত্যাশ্যা আরো অনেক বেশি, আমরা চাই ২০২০ এ আমাল ফাউন্ডেশন যতখানি কাজ করেছে, ২০২১ সালে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কাজ করে বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে। আর আমাদের এ ভালো কাজে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।