এতেকাফ-আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম

ইসলামিক ডেস্ক:পবিত্র লাইলাতুল কদর প্রাপ্তির সুনিশ্চিত প্রত্যাশায় সর্বোপরি মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য রমজানের শেষ দশকের এতেকাফ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। রমজানের শেষ দশকের এতেকাফ রাসূলুল্লাহ সা:-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত আমল। রমজানের শেষ দশকের এতেকাফ সুন্নতে মোয়াক্কাদা আলাল কেফায়া। অর্থাৎ মহল্লার জামে মসজিদে কোনো রোজাদার মুসলিম এতেকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে এ ধরনের সুন্নত আদায় হবে। তাই এলাকাবাসীর কেউ যদি এতেকাফ না করে তাহলে সুন্নত ছেড়ে দেয়ার কারণে সবার সুন্নত তরফের গোনাহ হবে।

পবিত্র কুরআনে সূরা বাকারার ১২৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে আদেশ দিয়েছিলাম যেন তারা আমার ঘরকে (কাবা) তাওয়াফকারীদের জন্য, এতেকাফকারীদের জন্য ও (সর্বোপরি তার নামে) রুকু-সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র রাখে।

২০ রমজান সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পূর্ব থেকে ২৯ অথবা ৩০ রমজান অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পূর্ব পর্যন্ত পুরুষদের জন্য মসজিদে এবং নারীদের জন্য নিজ গৃহে নামাজের নির্ধারিত স্থানে নিয়মিত একাধারে অবস্থান করাকে এতেকাফ বলে। শরিয়তের পরিভাষায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতসহকারে নিয়মিত আদায় করা হয় এমন মসজিদে মহান আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়তসহকারে অবস্থান করাকে এতেকাফ বলে। এতেকাফের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে লাইলাতুল কদর প্রাপ্তির মাধ্যমে মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভ।

২০ রমজান সূর্যাস্তের প্রাক্কাল থেকে মসজিদে এতেকাফ শুরু করবেন এবং ২৯ বা ৩০ রমজান শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পরে এতেকাফকারীরা মসজিদ থেকে বের হবেন। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন এতেকাফ করলে ২৭ রমজান যদি শবে কদর নাও হয়, তবু এ ১০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত এতেকাফে আদায় হয়ে যায় এবং এর ফলে শবে কদরের রাতের ফজিলতও লাভ করা যাবে।

এতেকাফকালীন অবস্থায় কারো সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ ও অনর্থক গল্প-গুজব বা বেহুদা কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দুনিয়াবি কোনো লেনদেন না করার পাশাপাশি বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়াও অনুচিত। এতেকাফ অবস্থায় বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করার পাশাপাশি নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ, দান-সদকা ইত্যাদি নফল আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।-আমিন