হারাম উপার্জনের অর্থ রেখে মারা গেলেও সে সম্পদ হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির পূঁজি

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক:আমরা যখন সম্পদের আয়-ব্যয়ের হিসাব করি তখন কোন্ পথে আয় করছি হিসাব করাও জরুরি। মুসলিম শরীফের এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, যার উপার্জন হারাম আল্লাহ পাক তার দুআ কবুল করেন না (মুসনাদে আহমাদ: ১০১৫) । অন্য এক হাদীসে নবীজি (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন, ‘ওজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না; আর আত্মসাতের (অর্থাৎ অবৈধভাবে উপার্জিত) সম্পদের ছদকাও কবুল হয় না।’ (সহিহ মুসলিম: ২২৪) । হারাম উপার্জনের অর্থ রেখে মারা গেলেও সে সম্পদ হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির পূঁজি।

এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেয়ামতের দিন প্রত্যেক মানুষকেই জিজ্ঞাসা করা হবে যে, সে কিভাবে সম্পদ অর্জন করছে। অর্জিত সম্পদ বৈধ না অবৈধ উপায়ে উপার্জিত, সে হিসাব দিতে হবে। হিসাব দেয়ার আগে কোনো বান্দাকেই এক কদমও নড়তে দেয়া হবে না।

সুতরাং অবৈধভাবে অর্জিত হারাম সম্পদ মানুষের কোনো উপকারে আসবে না বলে পরিস্কার ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়নবী। হাদিসে এসেছে- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো বান্দা হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত অর্থ দান খয়রাত করলে তা কবুল হবে না এবং তা নিজ কাজে ব্যয় করলে বরকত হবে না। আর ঐ ধন তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার দোজখের পুঁজি হবে।’ (মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে  সফলতা দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে জীবনযাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন