মুখের হেফাজত ও কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে ইসলাম

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক:প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা অনেক সময় একজন মানুষের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনে। মানুষের বাকশক্তির অপব্যবহার পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। তাই কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক ও সংযমী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে ইসলাম। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মুখের হেফাজত ও কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি নিজেও এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক থাকতেন।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের সঠিক ব্যবহারের তথা হেফাজতের নিশ্চয়তা দিতে পারবে- আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারব। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- সে যা শুনে তাই (সত্যতা যাচাই না করে) বলে বেড়ায়।

হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে- অন্যথায় চুপ থাকে। হাদিসে কম কথা বলার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। ওই সব হাদিসের মমার্থ হলো- কথা যত কম বলা যায়, ততই মঙ্গল। যে বেশি কথা বলে, তার বিপদ বেশি হয়। তাই তো হাদিসে বলা হয়েছে, যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়।

তাই বিজ্ঞ আলেমদের অভিমত হলো- যারা কম কথা বলেন, তারা বুদ্ধিমান। তাই মানুষের উচিত- প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা না বলা। আসুন আমরা গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য কম কথা বলি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের  ইহকাল ও পরকালে সকলের উপর শান্তি বর্ষিত করুন।-আমিন।