আসুন আমরা কুরবানির জন্য মানসিক ও আর্থিকভাবে প্রস্তুতি নিই

ইসলামিক ডেস্ক:আজ জিলক্বদ মাস ৫ তারিখ। এরপর আসবে জিলহজ্জ মাস। জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পবিত্র ঈদ উল আজহা বা কুরবানির ঈদ। সে হিসাবে কুরবানির ঈদ আসতে আর ১মাস ৪দিন সময়ের মত বাকি আছে। ২০২১ সালের কুরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ২১ জুলাই ২০২১।আসুন আমরা কুরবানির জন্য মানসিক ও আর্থিকভাবে প্রস্তুতি নিই। যাদের কুরবানি করার সামর্থ্য আছে আমরা যেন কেউ এর ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হই। সাধ্য মত উত্তম পশু কুরবানির জন্য, প্রয়োজনে এখন থেকেই কিছু টাকা আলাদা করে রাখার চেষ্টা করি।

কুরবানির ফজিলতের বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। নিচে একটি হাদীস উল্লেখ করা হলো।

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কুরবানীর দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কুরবানী করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কুরবানীকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কুরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কুরবানী কর। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৪৯৩। আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব)

কুরবানির সামর্থ্য থাকা অবস্থায়ও যারা কুরবানি দিতে কার্পণ্য করেন তাদের ব্যাপারে হাদীস শরীফে কঠিন ধমকি এসেছে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে তবুও সে কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৭৬৩৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫)।

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকল মুমিন মুসলমানকে সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানী করার তাওফিক দিন। আমিন