মাহে রমজানে আমাদের তাকওয়া অর্জনে অধিক সচেষ্ট হতে

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক:রমজানের প্রথম দশক রহমতের। আল্লাহ আমাদের প্রতি দয়া করবেন, আমাদেরও তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়া করতে হবে। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দয়ার বিনিময় দয়া ছাড়া আর কী হতে পারে?’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ৬০)। যদিও বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া বা রহমত সর্বকালে সর্বক্ষণ বর্ষিত হতে থাক, বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানে এর ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। রমজানের প্রথম দশক রহমতের দশক হিসেবে বিশেষায়িত।

পবিত্র মাহে রমজানের বরকতে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে আদম সন্তান রোজা পালন, নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, দান–সদকা, ফিতরা, জাকাত প্রদান ও জিকির–আসকার ইত্যাদিতে মশগুল হয়ে তাকওয়া অর্জনে অধিক সচেষ্ট হতে পারে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সকল মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানশীল। যখন রমাদান আসত, জিবরাইল (আ.) প্রতি রাতে আসতেন, কোরআনের তালিম করতেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রবাহিত বায়ু অপেক্ষা অধিক হারে দান খয়রাত ও নেক আমল করতেন।’ অন্য বর্ণনায় রয়েছে: ‘রমাদান এলে রাসুল (সা.) এত বেশি দান–খয়রাত করতেন, যেন তা প্রবাহিত বায়ু।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৭১১; মুসলিম, হাদিস: ২৩০৮)। আল্লাহর রহমত পেতে সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল হতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা দুনিয়াবাসীর প্রতি রহম কর, আসমানওয়ালা খোদা তোমাদের প্রতি রহম করবেন।’ (বুখারি)।

আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারলেই সকল বিপদ-আপদ ও বালা–মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ করোনা অতিমারিতে আক্রান্ত। সেজন্য আমাদের মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বেশি বেশি তওবা করতে হবে যেন তিনি আমাদের সকল আজাব থেকে রক্ষা করেন। সংযমের মাস রমজান, আল্লাহর রহমত পাওয়ার জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযমী ও নিয়ন্ত্রিত আচরণ করতে হবে। নিয়মানুবর্তিতা, সুশৃঙ্খল জীবন ও আল্লাহর ওপর নির্ভরতা সব সংকট উত্তরণে সহায় হবে ইনশা আল্লাহ! মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে এ পবিত্র রমজানে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করার সুযোগ দিন।-আমিন