পবিত্র মিরাজের শিক্ষায় আলোকিত হোক সবার জীবন

Category: ইসলাম ও জীবন Written by agrilife24

ইসলামিক ডেস্ক:আগামী ২৬ রজব অর্থাৎ ১১ মার্চ দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালিত হবে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ মিরাজ ছিল জাগ্রত অবস্থায় রূহ ও শরীরের উপস্থিতিতে। আর তা বাস্তবেই প্রমাণিত। প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য মিরাজ সংঘটিত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বাস স্থাপন করাও প্রতেক মুমিন মুসলামনের ঈমানী দায়িত্ব। তাই পবিত্র মিরাজের শিক্ষায় আলোকিত হোক আমাদের সবার জীবন। প্রত্যেক মুমিন সঠিক পথের দিশা লাভ করে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও দ্বিনের অবিচল থাকবে এটাই মিরাজের প্রকৃত শিক্ষা।

মিরাজের ঘটনা থেকে মুমিনদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় অনেক বিষয়। এর অন্যতম কিছু বিষয় হলো- আল্লাহতায়ালার অসীম ক্ষমতার ওপর নিঃশঙ্ক চিত্তে বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহ চাইলে সবকিছুই পারেন এবং তার ক্ষমতা অপরিসীম। এই চেতনা মাথায় রেখে আল্লাহকে ভয় করে, সার্বক্ষণিক আল্লাহর উপস্থিতির চিন্তা করে সব কাজ করা।

‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয় তিনি পরম শ্রবণকারী ও দ্রষ্টা।’ –সূরা বনি ইসরাইল: ১

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মর্যাদাকে উপলব্ধি করে পরিপূর্ণভাবে সিরাত অনুসরণ করা। আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব, জান্নাত-জাহান্নামের মতো বিষয়গুলো মানুষের চোখের সামনে দৃশ্যমান নয়, সেগুলোতে পরিপূর্ণভাবে ঈমান আনা এবং এতে কোনো প্রকার সন্দেহ না রাখা।

মুসলিম উম্মাহ যখন এ মিরাজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে;আল্লাহর ভয় এবং মহব্বত বাস্তবায়ন করবে তখনই মানুষের ইহকাল ও পরকাল হবে সার্থক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মেরাজের শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের উন্নত নৈতিক চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। ইহকাল ও পরকালে সার্বিক মঙ্গল দান করুন। আমিন